ব্রেকফাস্ট কী | বিভিন্ন প্রকার আন্তর্জাতিক ব্রেকফাস্ট | 5Star Hotel Breakfast Knowledge Bangla

ব্রেকফাস্ট কী ! 

ব্রেকফাস্ট বা সকালের খাবার হলো দিনের প্রথম খাবার, যা সাধারণত ঘুম থেকে ওঠার পর খাওয়া হয়। “ব্রেকফাস্ট” শব্দটির অর্থ হলো "রাত্রির উপবাস ভাঙা" (break the fast)। রাতভর ঘুমের পর শরীরের শক্তির ঘাটতি পূরণ করার জন্য একটি পুষ্টিকর ব্রেকফাস্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি শরীরকে সক্রিয় করে এবং দিনের শুরুতে শক্তি যোগায়। বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন যে, একটি স্বাস্থ্যকর ব্রেকফাস্ট শরীরের বিপাক প্রক্রিয়াকে সক্রিয় করে, মনোযোগ বাড়ায় এবং দিনভর কার্যক্ষমতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।




ব্রেকফাস্টের গুরুত্ব:

  1. শক্তি সরবরাহ: ব্রেকফাস্ট শরীরে প্রয়োজনীয় গ্লুকোজ সরবরাহ করে, যা মস্তিষ্ক এবং শরীরের সক্রিয়তা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
  2. বিপাক প্রক্রিয়া সক্রিয় করে: একটি স্বাস্থ্যকর ব্রেকফাস্ট খাওয়ার মাধ্যমে শরীরের বিপাক প্রক্রিয়া সক্রিয় হয়, যা সারাদিনের ক্যালোরি পোড়ানোর হার বাড়ায়।
  3. মনোযোগ ও মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়: গবেষণায় দেখা গেছে যে ব্রেকফাস্ট মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা উন্নত করে এবং মনোযোগ ও স্মৃতিশক্তি বাড়ায়।
  4. ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে: যারা ব্রেকফাস্ট খেয়ে দিন শুরু করেন তারা সাধারণত কম ক্যালোরি গ্রহণ করেন এবং বেশি খাবার এড়িয়ে চলেন।
  5. শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: স্বাস্থ্যকর ব্রেকফাস্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, যা সারা দিন শরীরকে সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করে।

ফাইভ-স্টার হোটেলগুলোর ব্রেকফাস্ট বুফে একটি চমৎকার অভিজ্ঞতা, যা অতিথিদের বিভিন্ন ধরনের আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় খাবার পরিবেশন করে। এই বুফেতে খাদ্যের বৈচিত্র্য, উপাদানের মান এবং সাজসজ্জা সবই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিচে একটি ফাইভ-স্টার হোটেলের ব্রেকফাস্ট বুফের বিস্তারিত তুলে ধরা হলো:

  1. ফ্রেশ জুস ও ড্রিংকস

    • বুফেতে থাকে বিভিন্ন ধরনের ফ্রেশ জুস, যেমন: কমলা, আপেল, তরমুজ, এবং ড্রাগনফ্রুট জুস। এছাড়া ডিটক্স ওয়াটার, ককটেল জুস এবং হেলথি স্মুদি পরিবেশন করা হয়। অতিথিদের রিফ্রেশ রাখতে ও শক্তি যোগাতে এই ফ্রেশ ড্রিংকস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
  2. বেকারি আইটেম

    • বিভিন্ন ধরনের পেস্ট্রি, ক্রোসাঁ, ড্যানিশ, কেক, ব্রেড রোল এবং বান থাকে। এদের মধ্যে মিষ্টি এবং নোনতা উভয় ধরনের আইটেম থাকে, যা অতিথিদের নিজস্ব পছন্দমতো খাওয়ার সুযোগ দেয়। সাধারণত এই বেকারি আইটেমগুলোর সাথে থাকে মাখন, জ্যাম এবং মধু।
  3. কন্টিনেন্টাল ও আমেরিকান ব্রেকফাস্ট আইটেম

    • ফাইভ-স্টার হোটেল বুফেতে কন্টিনেন্টাল ও আমেরিকান ব্রেকফাস্টের সবধরনের উপাদান পাওয়া যায়, যেমন: স্ক্র্যাম্বলড এগ, সসেজ, বেকন, প্যানকেক, ওয়াফলস এবং ফ্রেঞ্চ টোস্ট। প্যানকেক এবং ওয়াফলের সাথে থাকে সিরাপ, ফ্রেশ ক্রিম, ও চকলেট।
  4. এশিয়ান ব্রেকফাস্ট আইটেম

    • বুফেতে এশিয়ান খাবার যেমন জাপানি মিসো স্যুপ, চাইনিজ ডাম্পলিংস, থাই নুডল স্যুপ, এবং ইন্ডিয়ান পরোটা, ডাল, চাটনি, সাম্বার, ইডলি ও ভাদা পরিবেশন করা হয়। এসব আইটেম স্থানীয় ও এশিয়ান অতিথিদের জন্য অত্যন্ত পছন্দের।
  5. লাইভ কুকিং স্টেশন

    • ফাইভ-স্টার হোটেলের বুফেতে লাইভ কুকিং স্টেশন থাকে, যেখানে অতিথিরা তাদের পছন্দমতো খাবার তৈরি করতে বলেন, যেমন: ওমলেট, পাস্তা, ফ্রেশ সালাদ, এবং নুডলস। অতিথিরা তাজা ও গরম খাবার উপভোগ করার সুযোগ পান এবং শেফদের সাথে সরাসরি খাবার নিয়ে পরামর্শও করতে পারেন।
  6. ফ্রেশ সালাদ এবং ফলের স্টেশন

    • সালাদ স্টেশনে থাকে বিভিন্ন ধরনের তাজা সবজি এবং ফলমূল, যেগুলোর সাথে থাকে ড্রেসিংস এবং টপিংস। ফলের মধ্যে আপেল, আঙুর, আনারস, তরমুজ ইত্যাদি থাকে, যা খাবারের সাথে ভারসাম্যপূর্ণ এবং পুষ্টিকর।
  7. দুধ ও সিরিয়াল স্টেশন

    • বিভিন্ন ধরনের দুধ, যেমন: ফুল ফ্যাট, লো ফ্যাট, সোয়া মিল্ক ও বাদামের দুধ থাকে। এছাড়া কর্নফ্লেক্স, ওটমিল, এবং বিভিন্ন গ্রানোলা টপিংস থাকে। অতিথিরা নিজস্ব পছন্দমতো সিরিয়াল ও দুধের মিশ্রণ তৈরি করতে পারেন।
  8. ডেজার্ট ও মিষ্টান্ন

    • শেষপাতে থাকে বিভিন্ন ধরনের ডেজার্ট, যেমন: পুডিং, কেক, ফ্রুট ট্রাইফল, ক্রিম ব্রুলে এবং মিষ্টান্ন। অনেক হোটেলে স্থানীয় মিষ্টি যেমন কুনাফা, বক্লাভা বা রসমালাইও পরিবেশন করা হয়।

ফাইভ-স্টার হোটেলের ব্রেকফাস্ট বুফে অতিথিদের জন্য একটি অভিজাত অভিজ্ঞতা তৈরি করে। সেরা মানের উপাদান, বৈচিত্র্যময় খাদ্য, এবং চমৎকার পরিবেশনের মাধ্যমে অতিথিদের ব্রেকফাস্টকে আনন্দময় করে তোলা হয়। এখানকার খাবার শুধু স্বাস্থ্যকর নয়, বরং সৃষ্টিশীল উপস্থাপনায় রুচিশীল করে পরিবেশন করা হয়। অতিথিরা বিভিন্ন দেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের স্বাদ নিতে পারেন এবং বিভিন্ন স্টেশনে নিজস্ব পছন্দমতো ব্রেকফাস্ট তৈরি করে উপভোগ করতে পারেন।

 আন্তর্জাতিক ব্রেকফাস্ট সম্পর্কে বর্ণনা দেওয়া হলো:


১. কন্টিনেন্টাল ব্রেকফাস্ট (Continental Breakfast)

উপাদান: সাধারণত কন্টিনেন্টাল ব্রেকফাস্টে বিভিন্ন ধরনের রুটি, যেমন: ক্রোসাঁ, ব্রেড রোলস বা টোস্ট, মাখন, জ্যাম বা হানি, কফি বা চা থাকে। সাথে কখনও কখনও ফলমূল বা ছোট কেকও পরিবেশন করা হয়।

স্বাদ: হালকা মিষ্টি ও নরম স্বাদ, মূলত মাখন ও জ্যামের সংমিশ্রণে।

ইতিহাস: ইউরোপের হোটেলগুলোতে অতিথিদের হালকা ব্রেকফাস্ট পরিবেশন করার রীতি থেকে কন্টিনেন্টাল ব্রেকফাস্টের শুরু হয়েছিল। ইউরোপীয় দেশগুলোর নাগরিকরা সকালের খাবারে হালকা কিছু খেতে পছন্দ করেন, যা সহজেই হজম হয় এবং দিনের শুরুতে শক্তি যোগায়।


২. আমেরিকান ব্রেকফাস্ট (American Breakfast)

উপাদান: আমেরিকান ব্রেকফাস্টে থাকে স্ক্র্যাম্বলড এগ, বেকন, সসেজ, টোস্ট বা প্যানকেক, ফ্রেঞ্চ টোস্ট, এবং কখনও কখনও ওয়াফল। সাথে মাখন, সিরাপ, এবং ফলমূলও পরিবেশন করা হয়।

স্বাদ: মজাদার ও ক্রিসপি স্বাদ, বিশেষ করে বেকন ও সসেজের সাথে মিষ্টি সিরাপের মিশ্রণ।

ইতিহাস: আমেরিকান ব্রেকফাস্ট মূলত আমেরিকান সমাজে কর্মব্যস্ত দিনের শুরুতে শক্তি যোগানোর জন্য প্রচলিত হয়েছে। এটি ১৯ শতকে জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করে, যখন শক্তিশালী প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার রীতি প্রচলিত হয়।


৩. ইংলিশ ব্রেকফাস্ট (English Breakfast)

উপাদান: ফুল ইংলিশ ব্রেকফাস্টে থাকে ফ্রাইড এগ, সসেজ, বেকন, বেকড বিন, টোস্ট, গ্রিলড টমেটো, মাশরুম এবং কখনও কখনও ব্ল্যাক পুডিং।

স্বাদ: গাঢ় ও সমৃদ্ধ স্বাদ, বিভিন্ন ধরনের মসলাযুক্ত এবং ক্রিসপি উপাদান নিয়ে।

ইতিহাস: ইংল্যান্ডে এই ধরনের ভারি ব্রেকফাস্ট একসময় রাজকীয় বাড়িতে বা অভিজাতদের মধ্যে জনপ্রিয় ছিল। পরে এটি সাধারণ মানুষের মধ্যে জনপ্রিয়তা পায় এবং ব্রিটিশ ঐতিহ্যের অংশ হয়ে ওঠে।


৪. ইতালিয়ান ব্রেকফাস্ট (Italian Breakfast)

উপাদান: সাধারণত ইতালিয়ান ব্রেকফাস্টে ক্যাপুচিনো বা এসপ্রেসো এবং কোরেনেটো (ইতালীয় ক্রোসাঁ) থাকে। এছাড়া কেক, বিস্কুট বা মিষ্টান্নও থাকতে পারে।

স্বাদ: মিষ্টি ও হালকা, কোরেনেটো বা মিষ্টির সাথে কফির তীব্র স্বাদের মিশ্রণ।

ইতিহাস: ইতালিয়ানরা সাধারণত হালকা ব্রেকফাস্ট পছন্দ করে এবং কফি সংস্কৃতির জন্য বিখ্যাত। তারা দিন শুরুতে দ্রুত ও সহজ কিছু খেতে পছন্দ করে, যা তাদের কফির সাথে মানানসই।


৫. ইন্দোনেশিয়ান ব্রেকফাস্ট (Indonesian Breakfast)

উপাদান: ইন্দোনেশিয়ায় ব্রেকফাস্ট হিসেবে নাসি গোরেং (তেল-ভাজা ভাত), মী গোরেং (তেল-ভাজা নুডলস), তেম্পে (সয়াবিন কেক) এবং স্যাম্বাল (মরিচ পেস্ট) পরিবেশন করা হয়।

স্বাদ: মসলাদার এবং সুগন্ধযুক্ত, বিশেষ করে স্যাম্বালের মসলাদার টেস্ট।

ইতিহাস: ইন্দোনেশিয়ায় প্রধান খাদ্য হলো ভাত, এবং এই খাবারগুলি তাদের প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাসেরই একটি অংশ। বিশেষত এই খাবারগুলি স্থানীয় সুগন্ধি ও মসলার সংমিশ্রণে তৈরি হয়।


৬. মধ্যপ্রাচ্যের ব্রেকফাস্ট (Middle Eastern Breakfast)

উপাদান: মধ্যপ্রাচ্যে সাধারণত ব্রেকফাস্ট হিসেবে হুমাস, ফালাফেল, লাবনা (দই), জাতার, পিতা ব্রেড এবং জলপাই থাকে। সাথে সালাদ বা তাজা সবজিও পরিবেশন করা হয়।

স্বাদ: টক-মিষ্টি, মসলা ও তিলের স্বাদের মিশ্রণ।

ইতিহাস: মধ্যপ্রাচ্যের ব্রেকফাস্টে স্বাস্থ্যকর উপাদানগুলো ব্যবহৃত হয়। তিলের পেস্ট, জলপাই এবং দই এই অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী খাবারের অংশ এবং সহজেই প্রস্তুত করা যায়।


৭. জাপানি ব্রেকফাস্ট (Japanese Breakfast)

উপাদান: জাপানি ব্রেকফাস্টে থাকে ভাত, মিসো স্যুপ, গ্রিলড ফিশ, তাজা সবজি, এবং কখনও কখনও ন্যাটো (গাঁজানো সয়াবিন)।

স্বাদ: হালকা ও সতেজ, ভাত ও মাছের স্বাভাবিক স্বাদ সহ মিসো স্যুপের টেস্ট।

ইতিহাস: জাপানের ঐতিহ্যবাহী খাবারগুলো সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য খাওয়া হয় এবং এটি তাদের খাদ্যসংস্কৃতির একটি বড় অংশ।


৮. চাইনিজ ব্রেকফাস্ট (Chinese Breakfast)

উপাদান: চাইনিজ ব্রেকফাস্টে কনজি (চাল দিয়ে তৈরি পাতলা স্যুপ), ডিম সামবাও, বা ডিম কেক, ডাম্পলিংস এবং কখনও কখনও সয়া দুধ পরিবেশন করা হয়।

স্বাদ: হালকা, স্যুপ ও ভাজাভুজি খাদ্যের মিশ্রণ।

ইতিহাস: চীনে কনজি একটি ঐতিহ্যবাহী খাবার এবং এটি বিভিন্ন উপাদান যোগ করে তৈরি করা হয়। এটি সহজেই হজম হয় এবং পুষ্টিকর।


৯. ভারতীয় ব্রেকফাস্ট (Indian Breakfast)

উপাদান: ভারতীয় ব্রেকফাস্টে অঞ্চলভেদে বিভিন্ন খাবার থাকে। দক্ষিণ ভারতে ডোसा, ইডলি, সাম্বার; উত্তরে পরোটা, চোলি ভাটুরে; পশ্চিমে পোয়া বা থেপলা এবং পূর্বে লুচি-আলুর তরকারি প্রচলিত। সাথে চাটনি, দই বা মিষ্টি পরিবেশন করা হয়।

স্বাদ: মসলাদার, মিষ্টি এবং টক-মিষ্টি, যা বিভিন্ন মসলা ও উপাদানের মিশ্রণে তৈরি।

ইতিহাস: ভারতের প্রতিটি অঞ্চল তাদের নিজস্ব ঐতিহ্য ও স্বাদের খাবার অনুসারে ব্রেকফাস্ট তৈরি করে, যা তাদের সংস্কৃতি ও খাদ্যশিল্পের প্রতিচ্ছবি।


১০. বাংলাদেশি ব্রেকফাস্ট (Bangladeshi Breakfast)

উপাদান: বাংলাদেশি ব্রেকফাস্টে সাধারণত পরোটা বা রুটি, ডাল, সবজি ভাজি, ডিম ভাজি বা ভুনা, ভর্তা এবং হালকা মিষ্টান্ন (যেমন চিঁড়া-মুড়ি, মিষ্টি) থাকে। অনেক সময় ভাজা ইলিশ, চিংড়ি বা ছোট মাছও খাওয়া হয়। বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায় চিঁড়া-মুড়ি, গুড় ও দুধ দিয়ে তৈরি নাশতা জনপ্রিয়। শহরাঞ্চলে আবার লুচি-আলুর দমও ব্রেকফাস্ট হিসেবে প্রচলিত।

স্বাদ: মসলাদার, টক-মিষ্টি এবং হালকা ঝাল, যা ভর্তা ও ডাল থেকে আসে।

ইতিহাস: বাংলাদেশি ব্রেকফাস্টের ঐতিহ্য মূলত কৃষিনির্ভর জীবনযাপনের সাথে জড়িত। পরোটা ও ডাল, সবজি ভর্তা সহজলভ্য উপাদান থেকে তৈরি হওয়ার কারণে এটি সাধারণ মানুষ ও কৃষক শ্রেণির মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। গ্রামের মানুষ সকালে পুষ্টিকর এবং দীর্ঘ সময় ক্ষুধা মেটাতে পারে এমন খাবার খেতে অভ্যস্ত। এখন পর্যন্ত এই ঐতিহ্য অব্যাহত রয়েছে এবং বাংলাদেশি ব্রেকফাস্টে স্থানীয় স্বাদ ও সংস্কৃতির বিশেষ প্রভাব লক্ষ্য করা যায়।

Chef Jahed

https://web.facebook.com/ChefJahed.bd

Post a Comment

Previous Post Next Post