চা এর ইতিহাস !
চা বলতে সচরাচর সুগন্ধযুক্ত ও স্বাদবিশিষ্ট এক ধরনের উষ্ণ পানীয়কে বোঝায় যা চাপাতা পানিতে ফুটিয়ে বা গরম পানিতে ভিজিয়ে তৈরী করা হয়। চা গাছ থেকে চা পাতা পাওয়া যায়। চা গাছের বৈজ্ঞানিক নাম ক্যামেলিয়া সিনেনসিস। চা পাতা কার্যত চা গাছের পাতা, পর্ব ও মুকুলের একটি কৃষিজাত পণ্য যা বিভিন্ন উপায়ে প্রস্তুত করা হয়। সর্বোচ্চ চা রপ্তানিকারক দেশ হলো চীন। ইংরেজিতে চায়ের প্রতিশব্দ হলো টি (tea)। গ্রিকদেবী থিয়ার নামানুসারে এরূপ নামকরণ করা হয়েছিল। চীনে ‘টি’-এর উচ্চারণ ছিল ‘চি’। পরে হয়ে যায় ‘চা’।
সারাদিন আপনার পান করা পানীয়র মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কি কি ?
এই প্রশ্নের উত্তরে অনেকেই হয়তো যে কয়েটি পানীয়র নাম বলবেন তার মধ্যে অন্যতম -চা।
বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় পানীয়র একটি এই চা।
আমাদের চাহিদার কারণে গত তিন শতাব্দীতে এর পাতার ধরণে পরিবর্তন এসেছে বিভিন্ন মহাদেশজুড়ে, কিন্তু এর আবেদন একই রয়ে গেছে। চা মানবজাতির জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে উঠেছে।
চীনজাতীয় গাছের পাতা স্বাদ ও গন্ধের জন্য সুখ্যাত। কিন্তু আসামজাতীয় গাছের পাতা রঙের জন্য বিখ্যাত। এই দুই ধরনের চা-পাতার উন্নত সংমিশ্রণের উপরই এর গুণাগুন নির্ভর করে। স্বভাবতঃই চা মিশ্রণ একটি নিপুণতা ও অত্যন্ত কঠিন কাজ। তাই এটি অভিজ্ঞ ব্যক্তির দ্বারা সম্পাদনা করতে হয়। এরূপভাবে চা মিশ্রণে নৈপুণ্যের লাভের প্রেক্ষাপটে লিপটন, ব্রুকবণ্ড প্রভৃতি চা প্রস্তুতকারক কোম্পানী বিশ্ববাজার দখল ও খ্যাতি লাভ করেছে।
চা উৎপাদনকারী দেশের তালিকায় বাংলাদেশ বিশ্বে দশম :
১৬৫০ খ্রিষ্টাব্দে চীনে বাণিজ্যিকভাবে চায়ের উৎপাদন শুরু হয়। এই চায়ের বড় ক্রেতা হিসেবে আবির্ভূত হয় ব্রিটিশরা। কিন্তু বিনিময়মূল্যটা ছিল সোনা ও রুপায়। ফলে ব্যাপক বাণিজ্য ঘাটতি তৈরি হয়।
ব্যবসায় ঘাটতি মেটাতে ভারতবর্ষ থেকে ব্রিটিশরা চীনে আফিম রপ্তানি শুরু করে। নেশাগ্রস্ত যুবসমাজ ও অর্থনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণের জন্য চীনা শাসকেরা ১৮৩৯ সালে আফিম আমদানি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। কিন্তু ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি অবৈধ উপায়ে এ ব্যবসা অব্যাহত রাখে। অবৈধ আফিম ব্যবসার কারণে চীন ও ব্রিটেনের মধ্যে দুই দফা যুদ্ধ হয়। যা ইতিহাসে ‘অপিয়াম ওয়ার’ নামে পরিচিত।
যুদ্ধের জের ধরে চীনের চায়ের বাজারে নিজেদের কর্তৃত্ব হারায় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। গোয়েন্দাগিরির এক মারাত্মক ফন্দি আঁটে তখন ব্রিটিশরা। যা ইতিহাসে ‘ ব্রিটিশ টি রবারি’ নামে খ্যাত। রবার্ট ফরচুন নামে একজন স্কটিশ উদ্ভিদ বিজ্ঞানীকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়। চীনা পোশাক পরিয়ে তাঁকে বিদেশিদের জন্য নিষিদ্ধ চীনের এমন চা–অঞ্চলে পাঠানো হয়। ফরচুন গভীরভাবে সেখানে চা উৎপাদন পর্যবেক্ষণ করেন এবং যথেষ্ট পরিমাণ চায়ের বীজ নিয়ে ফেরত আসেন। করপোরেট গুপ্তচরবৃত্তির এই ঘটনা নিয়ে সাংবাদিক সারাহ রোজের লেখা ‘ফর অল দ্য টি ইন চায়না: হাও ইংল্যান্ড স্টোল দ্য ওয়ার্ল্ডস ফেবারিট ড্রিংক অ্যান্ড চেঞ্জড হিস্ট্রি’ (২০১০) একাধিক আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছে। ফরচুনের কর্মকাণ্ডে বিস্ময়ে হতবাক হয়ে বইটির শুরুতে রোজ লিখেছেন ‘দ্য টাস্ক রিকয়ার্ড এ প্ল্যান্ট হান্টার, এ গার্ডেনার, এ থিফ, এ স্পাই’।
ফরচুন চীন থেকে শুধু বীজ এবং চারাই আনেননি, সঙ্গে করে একদল প্রশিক্ষিত চীনা চা–শ্রমিককেও ভাগিয়ে আনেন। নতুন পানি ও আবহাওয়ায় যৎসামান্য কিছু চারা বাঁচে। আসামে শুরু হয় চায়ের চাষ নতুন করে। আসামে অবশ্য ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির তত্ত্বাবধানে পরীক্ষামূলকভাবে চায়ের আবাদ শুরু হয় তারও ১৮ বছর আগে ১৮৩৭ সালে। বাণিজ্যিক চা–বাগান স্থাপনের প্রস্তাব পাঠানোর পরিপ্রেক্ষিতে ১৮৩৯ সালে চা চাষের অনুমতি চেয়ে আবেদন করে লন্ডনের তিনটি ও কলকাতার একটি কোম্পানি। এই স্বতন্ত্র কোম্পানিগুলোকে একত্র করে ‘আসাম কোম্পানি’ নামের একটি জয়েন্ট স্টক কোম্পানি গঠিত হয়।
পাহাড়ের আবহাওয়া চা উৎপাদনের অনুকূল বিবেচনায় সে সময় সিলেট, আসাম, কাছার, ডুয়ার্স ও দার্জিলিংকে চা উৎপাদনের জন্য প্রাধান্য দেওয়া হয়। চট্টগ্রামে বাণিজ্যিকভাবে চা চাষের প্রচেষ্টা নেওয়া হলেও সফলতা আসেনি। চা আবাদে কোম্পানিগুলোকে পৃষ্ঠপোষকতার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ছিল অবারিত দ্বার ও নানামুখী সুযোগ-সুবিধা।
১৮৫৪ সালে সিলেট অঞ্চলের মাঝে মালনীছড়ায় প্রথম বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে চা–বাগান প্রতিষ্ঠা করা হয়। মালনীছড়া চা বাগান বাংলাদেশ তথা উপমহাদেশের বৃহত্তম এবং সর্বপ্রথম প্রতিষ্ঠিত চা বাগান। ১৮৪৯ সালে লর্ড হার্ডসন ১৫০০ একর জায়গার উপর এটি প্রতিষ্ঠা করেন।
প্রথমদিকে চা পানের জন্য গাছ থেকে পাতা সংগ্রহ করে ফুটন্ত গরম পানিতে পাতা দিয়ে তা উপভোগ করা হতো। পরবর্তিতে চা সংরক্ষণ, বাজারজাতকরণ এবং ব্যবহারের সুবিধার জন্য নতুন করে ভাবা হয়। এর ফলশ্রুতিতে চা পাতা সংগ্রহের পর রোদে শুকিয়ে পাতলা কাপড়ে মুড়ে গরম পানির পেয়ালায় ডুবিয়ে ব্যবহার করা শুরু হয়। বর্তমানে এই পদ্ধতিকে মডিফাই করে আধুনিক রুপ দেয়া হয়। যা আমাদের কাছে "টি ব্যাগ" নামেই পরিচিত।
চায়ের প্রকারভেদ ও উপকারিতা :
১. কলো চাঃ
ক্যামেলিয়া সিনেনসিস গাছ থেকে এই কালো চা তৈরি করা হয়। এই গাছের পাতা তুলে সেটিকে ক্রাশ, কার্ল, রোল ও টোর্ন করে শুকিয়ে যাওয়ার আগে অক্সিডাইজের জন্য ছেড়ে দেওয়া হয়।
পাতাগুলি পুরোপুরি অক্সিডাইজ হয়ে গেলে কালো চা স্ট্রং ও ডার্ক ফ্লেভারের হয়। নানান ব্রেন্ডের কালো চা বিক্রি হয়। এই ব্লেন্ডই কালো চায়ের ফ্লেভার নির্ধারণ করে। চিন, ভারত, শ্রীলঙ্কা ও নেপালে কালো চা উৎপাদন হয়। কালো চা সবচেয়ে সাধারণ চায়ের ভ্যারাইটি। আসাম কালো চা, সিলং কালো চা, দার্জিলিং চা, মশলা চা ইত্যাদি এগুলির মধ্যে অন্যতম।
কালো চায়ের উপকারীতাঃ
এর উপকারিতা সম্পর্কে নানান সমীক্ষা চালানো হচ্ছে। তবে এতদিনের সমীক্ষা থেকে জানা যায় যে, কালো চা হৃদয় সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। আবার অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকেও শরীরকে নিরাপদে রাখে।
২. গ্রিন টিঃ
ক্যামিলিয়া সিনেনসিস গাছের সতেজ বা শুকিয়ে যাওয়া, সামান্য উষ্ণ বা স্টিম করা পাতা থেকে গ্রিন টি তৈরি করা হয়। এই পদ্ধতি অক্সিডেশন প্রক্রিয়া রোধ করে। এই চা স্বাদে হাল্কা, সতেজ এবং সামান্য গ্রিসি হতে পারে। নানান গ্রিন টি-র স্বাদ নানান ধরণের হয়ে থাকে। কোনওটি নাটি-ফ্রুটি বা প্রায় সি-উইডের মতো হয়। মাচা টি-ও এক ধরণের গ্রিন টি।
গ্রিন টি-র উপকারিতাঃ
এই চা মানসিক সতর্কতা বৃদ্ধি করে। পাশাপাশি হৃদয় সুস্থ রাখতে, অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের প্রতি প্রাকৃতিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে এবং মস্তিষ্ক সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
৩. উলোঙ্গ চাঃ
এটি ব্ল্যাক ড্র্যাগন চা নামেও খ্যাত। এটি সেমি-অক্সিডাইজড এবং এই গাছের গোটা পাতাগুলিই চা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এই চা পাতার অক্সিডাইজেশনের ওপর এর রঙ ও স্বাদ নির্ভর করে। পাতা যত কম অক্সিডাইজ হবে, এর রঙ হবে ততই হাল্কা এবং যত বেশি অক্সিডাইজ হবে, তত গাঢ় হবে এর রঙ।
উলোঙ্গ চায়ের উপকারিতাঃ
অন্যান্য চায়ের তুলনায় এর জনপ্রিয়তা অনেক কম। কিন্তু এটি গুণমানে সমৃদ্ধ। এতে একাধিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বর্তমান, যেমন ইজিসিজি, থিয়াফ্ল্যাভিনস এবং থিরুবিগিনস। ফ্রি র্যাডিক্যাল এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের হাত থেকে শরীরকে নিরাপদে রাখতে সাহায্য করে এই চা। এ ছাড়াও হৃদয় ও মস্তিষ্কের সুস্থতাতেও এটি সাহায্য করে থাকে।
৪. পুয়েরহ বা পিও চাঃ
এটি এক ধরণের ফার্মেন্টেড বা গাঁজানো চা। এটি সাধারণত অন্যান্য আসল চায়ের তুলনায় বেশি দামী। ক্যামিলিয়া সিনেনসিস গাছের পাতা ও কান্ড থেকে এই চা তৈরি করা হয়। এটি চিনের ইউনান প্রদেশে উৎপাদিত হয়। চায়ের ইট, কেক বা শুকনো পাতা হিসেবে এটি বিক্রি করা হয়।
পুয়েরহ বা পিওর চায়ের উপকারীতাঃ
অন্যান্য চায়ের মতো এই চা পাতার ওপর বিশেষ গবেষণা করা না-হলেও এর উপকারীতা সম্পর্কে নানান তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায়। এতে উপস্থিত ক্যাফিন মানসিক সতর্কতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ এটি। হৃদয় ও ত্বক সুস্থ রাখতে এই চা সাহায্য করে।
৫. সাদা চাঃ
ক্যামিলিয়া সিনেনসিসের নতুন কুঁড়ি ও পাতা দিয়ে এই চা তৈরি করা হয়। নতুন কুঁড়ির রুপোলী আভা এই চায়ের সাদা রঙের জন্য দায়ী। পাতা ও কুঁড়ি তোলার পর এর অক্সিডেশন প্রক্রিয়া বন্ধ করার জন্য এগুলিকে সেদ্ধ করা বা ভাজা হয়। তার পর এই পাতাগুলিকে শুকতে দেওয়া হয়। এর ফলে এই চায়ের স্বাদ হয় হাল্কা, ডেলিকেট ও ফ্রুটি। অন্যান্য আসল চায়ের তুলনায় সাদা চায়ে ক্যাফিনের পরিমাণ সবচেয়ে কম থাকে। নানান ধরণের সাদা চায়ের মধ্যে দার্জিলিং সাদা চা অন্যতম। তবে ভারতে উৎপাদিত এই চা ইউনানের সাদা চায়ের তুলনায় সস্তা।
সাদা চায়ের উপকারীতাঃ
এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান বর্তমান। এতে উপস্থিত ক্যাটচিনস, ট্যানিনস ও ফ্লুয়োরাইড দাঁতের সুস্থতার জন্য উপযোগী। ফ্লুয়োরাইড দাঁত মজবুত রাখতে সাহায্য করে, আবার ক্যাটচিন এবং ট্যানিনস মুখের প্লাক ব্যাক্টিরিয়া নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। মস্তিষ্কের সুস্থতাতেও সাহায্য করে এই চা।
এ ছাড়াও আমাদের কাছে সব থেকে বেশি পরিচিত হলো লাল চা বা রং চা, দুধ চা এবং গ্রিন টি।
তবে এদের মধ্যে স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো হবে কোনটি জানেন কি ?
চা পান করা ব্যতীত একটা দিন পার করা ভীষণ দুঃসাধ্য ব্যাপার।
সকালে উঠেই গরম এক কাপ চায়ের সঙ্গে নাস্তা, কাজের চাপে নিজেকে একটু রিল্যাক্স রাখতে চায়ের পেয়ালায় চুমুক দেওয়া।
চায়ের কথা বলতেই চোখের সামনে নিশ্চয় ভেসে ওঠে গরম এককাপ পারফেক্ট বর্ণ, গন্ধ, স্বাদ ও ঘনত্বের দুধ চায়ের ছবি। অনেকেই অবশ্য দুধ চা এড়িয়ে যান ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স কিংবা গ্যাস্ট্রিক আলসারের সমস্যার জন্য। সেক্ষেত্রে লাল চায়ের সঙ্গে চলে সখ্যতা।
এছাড়া এখনকার সময়ে স্বাস্থ্য সচেতনতা ও সচেতনতামূলক তথ্যের জন্য গ্রিন টির দিকে ঝুঁকছেন অনেকেই। বিশেষত যারা লাল চা পান করেন, গ্রিন টিকেও পানীয়ের তালিকায় রাখছেন স্বাচ্ছন্দে। আবার অনেকেই তিন ধরণের চা-ই নিয়মিত পান করেন সময় ও সুযোগ বুঝে।
উপাদান
- ১ ½ টেবিল চামচ চা পাতা/পাউডার
- ৩ চা চামচ চিনি
- ১¼ কাপ জল
- ১½ কাপ ফুল ক্রিম দুধ/পুরো দুধ
- আধা চা চামচ গ্রেট করা আদা বা ¼ চা চামচ শুকনো আদা গুঁড়ো
- ২ -৩টি ইলাইচি/সবুজ এলাচ
- ৫ গোটা কালো গোলমরিচ
- ¼ চা চামচ দারুচিনি গুঁড়া
- ২ চা চামচ ফ্রেশ ক্রিম বা মালাই (ঐচ্ছিক)
পদ্ধতি
1. একটি পাত্র বা সসপ্যানে দুধ ঢালুন
2. কম আঁচে আঁচে আনুন
3. অন্য একটি প্যানে জল ঢেলে ধীরে ধীরে ফুটিয়ে নিন
4. এরপর মসলা চা, চা পাতা, দারুচিনি গুঁড়া, কালো গোলমরিচ, এলাচ, আদা (ঘড়ির কাঁটার দিকে) এর জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত উপকরণ সংগ্রহ করুন।
5. মর্টার-মুসি ব্যবহার করে, মোটামুটি আধা কেজি ইলাইচি/সবুজ এলাচ এবং কালো মরিচ
6. আদা কুঁচি করে একপাশে রাখুন
7. যখন দুধ জ্বাল দিতে শুরু করে, তখন এটি কিছু সুগন্ধি মসলা যোগ করার জন্য
8. দুধকে দ্রুত নাড়তে দিন, এতে চামড়া/মালাই আবার দুধে মিশে যাবে
9. কুচানো ইলাইচি ও গোলমরিচ গুঁড়ো দিন
10. এরপর দারুচিনি গুঁড়ো ছিটিয়ে দিন এবং গ্রেট করা আদাতে স্ক্র্যাপ করুন
11. অল্প আঁচে দুধ নাড়তে থাকুন
12. এদিকে পানি ফুটে উঠেছে, এতে চা পাতা দিন
13. ভালভাবে মেশান, খাড়া হতে দিন
14. চা যখন অল্প ফুটে উঠে উপরে আসতে শুরু করে, সেদিকে খেয়াল রাখুন
15. প্রায় এক মিনিট বা তার পরে চা পাতা ফুটন্ত জল দিয়ে মিশ্রিত করা হয়
16. এবার ফুটন্ত দুধে চায়ের ক্বাথ ঢেলে ভালো করে মিশিয়ে নিন
17. এটিকে আরও 2 মিনিটের জন্য গরম করতে দিন, নাড়তে থাকুন
18. আপনার স্বাদ অনুযায়ী চিনি যোগ করুন এবং ভালভাবে মেশান
19. সবশেষে অতিরিক্ত মসৃণতা এবং সমৃদ্ধির জন্য, কিছু তাজা ক্রিম বা মালাই যোগ করুন
20. চা আরও 1 মিনিটের জন্য বসতে দিন এবং এটি স্বাদে স্থির হতে দিন
21. মিশ্রণটি কাপ বা কুলহাদ বা গ্লাস বা লোটায় ছেঁকে নিন
22. গরম গরম পরিবেশন করুন!
মন্তব্য
এর পুষ্টির পরিমান :
- ক্যালোরি গ্রাম
- ফ্যাট গ্রাম
- প্রোটিন গ্রাম
- Calories
একজন মানুষের আদর্শ ওজন সঠিক রাখতে দিনে ২০০০ ক্যালোরি পর্যন্ত গ্রহণ করতে পারে।আপনার ক্যালরির প্রয়োজন অনুসারে আপনার দৈনিক ক্যালরির পরিমান টুকু বেশি বা কম হতে পারে। এটা কে DV বা ডেইলি ভ্যালু বলা হয়।