সহজ ৩ টি রেসিপি |পাকোড়া বাধাকপির পাকোড়া | ফুলকপির পাকোড়া | চিকেন পাকোড়া

বাধাকপির পাকোড়া 


বাঁধাকপির পাকোড়া বানানোর পর মিইয়ে যায় বেশিরভাগ সময়। পাকোড়া মচমচে করার টিপস জেনে নিন। শীতের সন্ধ্যায় ধোঁয়া ওঠা চায়ের সঙ্গে পরিবেশন করুন মচমচে বাঁধাকপির পাকোড়া। চাইলে এক মাস পর্যন্ত সংরক্ষণ করেও খাওয়া যাবে এটি। 

বাধাকপির পাকোড়া  বানানোর উপকরন ঃ

  1. বাধকপি
  2. পেঁয়াজ কুচি।
  3. কাঁচা মরিচ কুচি।
  4. ধনিয়া পাতা কুচি।
  5. হলুদ গুড়া।
  6. মরিচ গুড়া।
  7. লবন।
  8. ডিম।
  9. ভাজা জিরার গুড়া।
  10. বেসন/চালের গুড়া/ময়দা।

বাধাকপির পাকোড়া  বানানোর প্রস্তুত ও প্রণালী ঃ

বাধকপি-মিহি কুচি করে কেটে নিতে হবে।কেটে নেয়া বাঁধা কপি বড় বাটিতে নিয়ে সাথে সামান্য লবন দিয়ে ভালো ভাবে কচলিয়ে/মাখিয়ে নিতে হবে।তাহলে বাঁধা কপি থেকে পানি বের হবে।হাত দিয়ে চেপে চেপে বাঁধা কপি থেকে সব পানি ফেলে অন্য একটা বাটিতে নিয়ে নিতে হবে।এবার এই পানি ঝড়িয়ে নেয়া বাঁধা কপির সাথে দিতে হবে- 
সব উপকরণই নিজের স্বাদ মতো অথবা আন্দাজ মতো নিতে হবে।
এবার মাখানো ডো থেকে পরিমাণ মতো ডো নিয়ে (পাকোড়ার সাইজে)গরম তেলে দিয়ে দিতে হবে। কিছু সময় পর পর উল্টিয়ে দিয়ে গোল্ডেন ব্রাউন কালার করে ভেজে তুলতে হবে তাহলেই তৈরি হয়ে যাবে-- বাঁধা কপির পাকোড়া।
হাত দিয়ে ভালো ভাবে মাখিয়ে নরম করে পাকোড়ার ডো/মিশ্রন তৈরি করে নিতে হবে।

Health Benefits of  bandhakopir pakora |  বাধাকপির পাকোড়া এর পুষ্টির পরিমান ঃ 


বাঁধাকপি সুস্বাদু হওয়ার পাশাপাশি এতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন ও মিনারেলস। লো ক্যালরি সমৃদ্ধ হওয়ায় ওজন কমানোর জন্য এই দুই সবজি অনেক উপকারী।

এক কাপ বা ১০০ গ্রাম বাঁধাকপিতে পাওয়া যায়-

শক্তি -২৬ ক্যালরি

প্রোটিন - ১.৩ গ্রাম

ফাইবার -২ গ্রাম

কার্বোহাইড্রেট -৪.৭ গ্রাম

এ ছাড়া ফুলকপি ও বাঁধাকপিতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, ক্যালসিয়াম, আয়রন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ ও সালফার জাতীয় উপাদান।


ফুলকপির পাকোড়া

যারা সবজি খেতে ভালবাসেন তাদের কাছে ফুলকপি বরাবরই খুবই প্রিয়। ফুলকপি দিয়ে তৈরি নানা রকম সুস্বাদু ভাজি, মাছ দিয়ে নানা পদের রান্না এগুলো বাঙালীদের পছন্দের খাবার মেন্যুতে মানিয়ে যায় বেশ সহজেই। আজকে আমরা জেনে নিব, ফুলকপি দিয়ে বানানো যায় এমনই চটজলদি একটি নাস্তার রেসিপি। আর রেসিপিটি হচ্ছে- ফুলকপির পাকোড়া। গরম চায়ের সাথে বিকেলের নাস্তায় বড় কিংবা ছোট সকলের মন জয় করবে এই ফুলকপির পাকোড়া ।

ফুলকপির পাকোড়া  বানানোর উপকরন ঃ

  1. ফুলকপি।
  2. বেসন।
  3. ময়দা।
  4. মরিচের গুড়ো।
  5. জর্দার রং।
  6. লবন।
  7. পানি।
  8. সয়াবিন তৈল।

 ফুলকপির পাকোড়া বানানোর প্রস্তুত ও প্রণালী ঃ

ফুলকপি ছোট ছোট টুকরো করে কেটে ভাপ দিয়ে নিতে হবে। বেসন ময়দা লবন মরিচের গুঁড়ো জর্দার রং একসাথে করে পানি দিয়ে পাতলা বেটার তৈরি করে নিতে হবে।
ভাপানো ফুলকপি ময়দার বেটারে চুবিয়ে গরম তেলে গোল্ডেন ব্রাউন কালার করে ভেজে তুললেই তৈরি হয়ে যাবে ফুলকপির পাকোড়া।


Health Benefits of Fulkopir Pakora |  ফুলকপির পাকোড়া এর পুষ্টির পরিমান ঃ 

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর বৈশিষ্ট্য: ভিটামিন C সহ বিভিন্ন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফ্রি রেডিক্যাল দ্বারা সৃষ্ট ক্ষতি থেকে কোষগুলিকে রক্ষা করে, ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় এবং হৃদরোগের মতো দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমায়। 
হার্টের স্বাস্থ্য: ফুলকপিতে উপস্থিত পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এতে থাকা ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুলি কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। 
ক্যান্সার প্রতিরোধ: ফুলকপিতে পাওয়া কিছু যৌগ যেমন সালফোরাফেন এবং ইনডোল-3- কারবিনল, ক্যান্সার প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা রাখে। এগুলো ক্যান্সারের কোষকে বৃদ্ধি পেতে বাধা দেয় এবং শরীরে ডিটক্সিফিকেশন প্রক্রিয়া গুলিকে সহায়তা করে।
হজম শক্তি: ফুলকপিতে থাকা ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ ও পেট ফাঁপা থেকে সহায়তা করতে পারে।
মস্তিষ্কের বিকাশ: ফুলকপিতে থাকা একটি পুষ্টিকর উপাদান হল কোলিন, যা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য এবং বিকাশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এটি মেমোরি এবং শেখানোর মতন ফাংশনের সাথে বিশেষভাবে জড়িত। 
ওজন নিয়ন্ত্রণ: ফুলকপিতে ক্যালরি এবং কার্বোহাইড্রেট  তুলনামূলকভাবে অনেক কম। যার কারণে এটি ওজন নিয়ন্ত্রণ করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য হিসেবে ধরা যেতে পারে।
হাড়ের স্বাস্থ্য: ফুলকপিতে ভিটামিন K রয়েছে যা হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। খাদ্য তালিকায় ফুলকপি অন্তর্ভুক্ত করে হাড়কে শক্তিশালী ও সুস্থ রাখা যেতে পারে। 
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ: ফুলকপির কম কার্বোহাইড্রেট উপাদান এবং উচ্চ ফাইবার উপাদান রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিশেষভাবে উপকারী হতে পারে। 


চিকেন পাকোড়া 

কুড়কুড়ে চিকেন পাকোড়া বিকেল বা সন্ধ্যার নাশতার চায়ের সাথে জমবে কেমন,বলুনতো?? চিকেন চপ বা চিকেন বড়া যে নামই হোক না কেন টেষ্ট কিন্তু সুপারহিট! খুবই সহজ এবং তৈরি করতে সময়ও লাগে খুবই কম,ঝটপট তৈরি এই চিকেন স্ন্যাক্স যেকোনো আড্ডার আসর কিংবা মেহমানদারি জমিয়ে তুলবে! তাছাড়া প্রোটিন সমৃদ্ধ এই চিকেন পকোড়া বাচ্চারাও খুবই পছন্দ করবে! 

চিকেন পাকোড়া  বানানোর উপকরন ঃ
  1. চিকেন-ছোট, পাতলা কিউব করে -২কাপ
  2. বেসন -হাফ কাপ
  3. কর্ণ ফ্লাওয়ার-২টে চামচ
  4. ময়দা-১টে চামচ
  5. মরিচ গুড়া-হাফ চা চামচ
  6. ধনিয়া গুড়া-হাফ চা চামচ
  7. জিরা গুড়া-হাফ চা চামচ
  8. লবণ-স্বাদমতো
  9. আদা বাটা-হাফ চা চামচ
  10. রসুন বাটা-হাফ চা চামচ
  11. চাট মসলা-১ চা চামচ
  12. কাচা মরিচ মিহি কুচি-২/৩ টা
  13. পেয়াজ মিহি কুচি-হাফ কাপ
  14. লেবুর রস-১টে চামচ
  15. হলুদ গুড়া-হাফ চা চামচ
  16. ধনেপাতা কুচি-হাফ কাপ

চিকেন পাকোড়া  বানানোর প্রস্তুত ও প্রণালী ঃ

চিকেনের সাথে ময়দা, কর্ণ ফ্লাওয়ার, বেসন ছাড়া বাকি সব উপকরণ মিশিয়ে মাখিয়ে একটু নরম করে নিতে হবে।
এবার এই মাখানো মাংসের সাথে বেসন,ময়দা এবং কর্ণ ফ্লাওয়ার দিয়ে সাথে পরিমাণ মত পানি দিয়ে মাখিয়ে নিতে হবে। পানিটা একটু বুঝে দিতে হবে।
মাখানো মাংসের মিশ্রণটা একটু আঠালো টাইপের হবে।পানি বেশি হলে মিশ্রণটা পাতলা হয়ে যাবে।আর পাতলা হয়ে গেলে ভালোভাবে ভাজা যাবে না।
এবার অল্প গরম তেলে মাংসের মিশ্রণটা একটু একটু করে (পাকোড়ার সাইজে)দিয়ে দিতে হবে। মাঝারি আচে পাকোড়াগুলো সময় নিয়ে ভাজতে হবে। চুলার আচ বাড়ানো থাকলে পাকোড়ার ভিতরে কাচা থেকে,উপরে পুড়ে পুড়ে যাবে।
গোল্ডেন ব্রাউন কালার করে ভেজে তুললেই তৈরি হয়ে যাবে-

---চিকেন পাকোড়া----

Health Benefits of  chicken pakora চিকেন পাকোড়া এর পুষ্টির পরিমান ঃ

আমাদের অতি প্রিয় চিকেনে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিনের সন্ধান মেলে। আর এই প্রোটিন শরীর খুব সহজেই গ্রহণ করে নেয়। তাই দেহে এই ম্যাক্রনিউট্রিয়েন্টের ঘাটতি মেটাতে চাইলে নিয়মিত চিকেন খেতেই হবে।
শুধু তাই নয়, এই খাবারে রয়েছে ভিটামিন বি ১২, ট্রিপটোফ্যান, কোলিন, জিঙ্ক, আয়রন, কপার থেকে শুরু করে একাধিক উপকারী খনিজ এবং ভিটামিন। তাই দেহে পুষ্টির ঘাটতি মেটাতে চাইলে আপনাকে নিয়মিত চিকেন খেতেই হবে। তাতেই উপকার পাবেন হাতেনাতে।

Post a Comment

Previous Post Next Post