৫টি সহজ ও মজার হালুয়া রেসিপি একসাথে | সুজির হালুয়া হালুয়া, বুটের ডালের হালুয়া, বাদামের হালুয়া , কাঁচা পেঁপের হালুয়া ,মুগ ডালের হালুয়া

 টি রেসিপি | Best Easy Halwa Recipe



ঝরঝরে সুজির হালুয়া রেসিপি/স্বাস্থ্যকর জলখাবার রেসিপি/ Suji Halua Recipe | 

সুজির হালুয়া বা সুজির বরফি হয়তো বা অন্য সব হালুয়ার থেকে তৈরি করা সহজ এবং খেতে মজাদার! আর ট্রাডিশনাল এই সুজির হালুয়া কিংবা কাটলি বরফি যে যেটায় বলেন না কেন,এটা কিন্তু সেই শুরু থেকেই তৈরি হয় গ্রামের চুলোই একেবারেই সাদাসিধে ভাবে! হালুয়াতে বাড়তি স্বাদ যোগ করে খাঁটি গাওয়া ঘি দিয়ে তৈরি করলে! একটু শক্ত বরফি অথবা নরম করে হালুয়া যেটায় তৈরি করেন না কেন, এমনিতেও খেতে ভালো লাগে আবার চালের আটার রুটি দিয়েও জমে যায়! রুটি, পরেটার সাথে নাস্তায়ও খুব মজা! তবে শবে বরাতে,বিশেষ করে গ্রামে হালুয়া রুটি তো থাকতেই হয়। শবে বরাতের হালুয়া আর রুটি

সুজির হালুয়া বানানোর উপকরন ঃ

  1. ভাজা সুজি-১কাপ।
  2. চিনি-৩টে চামুচ।
  3. ঘি-৪টে চামুচ।
  4. পানি-১কাপ।
  5. ফুড কালার-কয়েক ফোটা (সবুজ)।
  6. সুজি-১কাপ।
  7. চিনি-৩টে চামুচ।
  8. ঘি-৪টে চামুচ।
  9. ফুড কালার কয়েক ফোটা -লাল।
  10. পানি-১কাপ।
  11. সুজি-১কাপ।
  12. চিনি-৩টে চামুচ।
  13. ঘি-৪টে চামুচ।
  14. ফুড কালার কয়েক ফোটা -হলুদ।
  15. পানি-১কাপ। 

সুজির হালুয়া বানানোর প্রস্তুত ও প্রণালী ঃ

সুজির সাথে চিনি পানি দিয়ে চুলায় জ্বাল দিতে হবে।অল্প আচে জ্বাল দিতে হবে। কিছুক্ষণ জ্বাল দিলেই সুজি ঘন হয়ে যাবে।তখন একটু একটু করে ঘি +ফুড কালার দিয়ে দিতে হবে। হালুয়া ঘন হয়ে প্যানের গা ছেড়ে আসলে আবার একটু ঘি দিয়ে নেড়ে নামিয়ে ফেলতে হবে। একইভাবে সব কালারের হালুয়া বানিয়ে নিতে হবে। ঘি ব্রাশ করা ট্রেতে হালুয়া ঢেলে দিতে হবে। সুজির হালুয়া হতে বেশি সময় লাগে না।তাই একটা হালুয়া ঠান্ডা হয়ে যাওয়ার আগেই আরেকটা হালুয়া করে সেটার উপরে ঢেলে চামুচ দিয়ে সমানভাবে ছড়িয়ে /বিছিয়ে দিতে হবে। হালুয়া একটার উপর আরেকটা দিয়ে চামুচ দিয়ে চেপে চেপে দিতে হবে। তাহলে ভিতরে ফাঁকা হয়ে ও থাকবে না আবার সহজেই জোড়া লেগে যাবে।নরমাল ফ্রিজে রেখে দিতে হবে
১ঘন্টা সেট হওয়ার জন্য। ফ্রিজ থেকে নামিয়ে ইচ্ছে মত সেপে কেটে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে-সুজির  হালুয়া।

Health Benefits of Sujir  Halwa | সুজির হালুয়া এর পুষ্টির পরিমান ঃ


আপনি কি জানেন সুজির মধ্যে রয়েছে একাধিক স্বাস্থ্য উপকারিতা, যা আপনার শরীরে ম্যাজিকের মত কাজ করবে। সুজির মধ্যে থাকা প্রোটিন ও ডায়টেরি ফাইবার আপনার শরীরকে সুস্থ রাখতে ও শক্তিশালী করতে তুলতে সাহায্য করে।  সুজির মধ্যে রয়েছে ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম, সোডিয়াম, জিঙ্ক, থিয়ামিন, রাইবোফ্লাবিন, নিয়াসিন, ভিটামিন বি৬ এবং ফোলেট। তাছাড়া সুজি হচ্ছে কার্বোহাইড্রেট যুক্ত একটি খাবার যা শরীরের ক্ষেত্রে ভীষণ সহায়ক। পুষ্টির সমাহার থাকায় এই খাদ্যকে সুষম আহার বললেও ভুল হবে না। এই ধরণের খাদ্য মস্তিষ্ক, স্নায়ুতন্ত্র এবং কিডনি একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গে শক্তির জোগান দেয়। ডায়টেরি ফাইবারে সমৃদ্ধ হওয়ায় ওজন কমাতে সাহায্য করে সুজি। এই ফাইবার সমৃদ্ধ খাদ্য অনেকটা সময় ধরে পেট ভর্তি রাখে, যার ফলে অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণের প্রবণতা হ্রাস পায় আর সহজেই ওজন কমে। আগেই উল্লেখ করা হয়েছে যে, এই খাদ্য শরীরে শক্তির জোগান দেয়। বিভিন্ন গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে যে প্রতি ১০০ গ্রাম সুজি থেকে ৩৬০ ক্যালোরি শক্তি পাওয়া যায়।

বুটের ডালের হালুয়া Buter Halua | Bangladeshi Halwa Recipe | Buter Daler Barfi | Chana Dal Halwa

বুটের ডালের হালুয়া বানানোর উপকরন ঃ

  1. বুটের ডাল-হাফ কেজি।
  2. চিনি-দেড় কাপ
  3. তরল দুধ-দেড় কাপ।
  4. গুড়া দুধ-৪টে চামুচ।
  5. লবন-১চিমটি।
  6. ঘি-পরিমানমত।
  7. এলাচ-২/৩টা।
  8. বাদাম।
  9. কিসমিস।

বুটের ডালের হালুয়া বানানোর প্রস্তুত প্রণালী ।

ডাল সেদ্ধ করে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে /পাটায় বেটে নিতে হবে। প্যানে ২টে চামুচ পরিমান ঘি দিয়ে তাতে এলাচ দিয়ে নাড়তে হবে। ঘি গরম হলে তাতে বাটা ডাল চিনি তরল দুধ লবন দিয়ে নাড়তে হবে। অনবরত নাড়তে হবে। নাড়া বন্ধ হলে লেগে যেতে পারে। কিছুক্ষণ পর পর হালুয়ার মধ্যে একটু একটু করে ঘি দিয়ে দিতে হবে। নাড়তে নাড়তে যখন হালুয়ার গা থেকে ঘি ছেড়ে আসবে তখন এর মধ্যে গুড়ো দুধ দিয়ে আর কিছুক্ষণ নেড়ে ঘি ব্রাশ করা ট্রেতে ঢালতে হবে। ভাতের চামুচ অথবা বেলুন দিয়ে ট্রেতে হালুয়া সমানভাবে ছড়িয়ে দিতে হবে। গরম থাকতেই হালুয়া নিজের পছন্দ মত সেপে কেটে নিতে হবে। এবং গরম থাকতেই হালুয়ার উপরে বাদাম কিসমিস দিয়ে সাজিয়ে দিতে হবে। তাহলেই তৈরি হয়ে যাবে --বুটের ডালের হালুয়া।

Health Benefits of buter daler halwa | বুটের ডালের হালুয়া এর পুষ্টির পরিমান ঃ

হালুয়ায় আছে উচ্চ ক্যালরি। এক টুকরা হালুয়ায় আড়াই শ থেকে তিন শ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি থাকে। বুটের হালুয়ার পুষ্টিগুণ জানতে হলে প্রথমে এই খাবারের প্রধান উপাদান ডাল, ঘি ও দুধে কী কী আছে, তা জেনে নেওয়া যাক। ১০০ গ্রাম বুটের ডালে রয়েছে ৩৭২ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি, ২০ দশমিক ৮ গ্রাম আমিষ, ৫৯ দশমিক ৮ গ্রাম শর্করা, ৫ দশমিক ৬ গ্রাম চর্বি, ৫৬ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম ও ৯ দশমিক ১ মিলিগ্রাম লোহা। ১০০ গ্রাম দুধে রয়েছে ৬৭ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি, ৩ দশমিক ২ গ্রাম আমিষ, ৪ দশমিক ৪ গ্রাম শর্করা, ৪ দশমিক ১ গ্রাম চর্বি ও ১২০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম। ১০০ গ্রাম ঘিতে রয়েছে ৯০০ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি ও ১০০ গ্রাম চর্বি। এক টুকরা বুটের ডালের হালুয়ায় রয়েছে ২৬৬ থেকে ৩২৫


/  / হালুয়া রেসেপি || Badamer Barfi / Halwa Recipe


বানানোর উপকরণ :

  1. বাদাম।
  2. ঘি।
  3. চিনি।
  4. এলাচ গুড়ো।
  5. তরল দুধ।
  6. গুড়ো দুধ।
  7. লবন।
  8. জর্দার রং।
সবই পরিমান মতো

বাদামের হালুয়া বানানোর প্রস্তুত প্রণালী ।

বাদামের লাল খোসা ফেলে বাদামের সাথে সামান্য দুধ দিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে বাদামের পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে।
চুলায় প্যান বসিয়ে তাতে ঘি দিতে হবে। ঘি গরম হলে তাতে বাদামের পেস্ট দিয়ে সাথে চিনি দিয়ে নাড়তে হবে। চিনির পরিবর্তে কনডেন্স মিল্ক ও দেয়া যাবে।
অল্প সময় নাড়লেই চিনির পানি শুকিয়ে বাদাম বেশ ঘন হয়ে আসবে। তখনি তাতে আরও একটু ঘি দিয়ে সাথে এলাচ গুড়ো লবন জর্দার রং দিয়ে নাড়তে হবে।
নাড়তে নাড়তে যখন হালুয়া শুকিয়ে প্যানের গা ছেড়ে আসবে তখনই তাতে গুড়ো দুধ দিয়ে নাড়তে হবে। ভালো ভাবে নেড়ে দুধ হালুয়ার সাথে মিশিয়ে দিতে হবে। গুড়ো দুধ দেয়ার ফলে হালুয়া খুব তাড়াতাড়ি আঠালো হয়ে আসবে। দুধ দেয়ার পর অল্প সময় নেড়ে ঘি ব্রাশ ট্রেতে হালুয়া ঢেলে দিতে হবে। চামুচ দিয়ে চারপাশে সমান ভাবে ছড়িয়ে দিতে হবে। হালুয়ার উপরে বাদাম কুচি দিতে চাইলে হালুয়া গরম থাকতেই উপরে ছিটিয়ে দিয়ে হালকা হাতে চেপে দিতে হবে। তাহলে হালুয়ার সাথে বাদাম গুলো লেগে থাকবে। পড়ে যাবে না।ঠান্ডা হলে হালুয়া ফ্রিজে রেখে দিতে হবে ২/৩ ঘন্টা। ফ্রিজ থেকে নামিয়ে ইচ্ছে মতো সাইজে এবং সেপে কেটে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে--বাদামের হালুয়া।

  • বাদামের হালুয়া তে ঘি এর পরিমাণ টা একটু বেশিই লাগে।

  • হালুয়াতে জর্দার রং না দিলেও চলবে।রং দিলে কালারটা সুন্দর লাগবে। না দিলে হালুয়া দেখতে সাদা সাদা লাগে। আবার যার যার পছন্দ অনুযায়ী যে কোন রং ই দিতে পারবে।

  • যে কোন বাদাম চিনা বাদাম কাজু বাদাম কাঠ বাদাম দিয়েই এই হালুয়া তৈরি করা যাবে।  

Health Benefits of badam halwa | বাদামের  হালুয়া এর পুষ্টির পরিমান ঃ


বাদাম উদ্ভিজ্জ খাবার হওয়া সত্বেও এতে উচ্চ মাত্রার আমিষ, উপকারী ফ্যাটি এসিড, ফাইবার বা আঁশ, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, ভিটামিন ও খনিজ লবণ রয়েছে। সকল বয়সের সকলের জন্য উপকারী। শর্করার পরিমাণ কম, তাই স্বভাবতই বাদাম বহুমূত্র রুগীর জন্য ভালো, কিন্তু বাদামের হালুয়া তে যদি অধিক চিনি ব্যবহার করা হয়, এই খাবার এড়িয়ে চলা উত্তম হবে উক্ত রোগীর।

তবে, অনেকেই বাদামের আমিষ (এনার্চিন, কনেনার্চিন) এ অ্যালার্জিক। তাদের জন্য বাদামের যেকোনো খাবার জীবন নাশক হতে পারে। তাই যেকোন খাবার বাদাম যুক্ত করতে খুবই সতর্ক হওয়া উচিত।




কাঁচা পেঁপের হালুয়া বানানোর উপকরণ :

  1. কাঁচা পেঁপে।
  2. চিনি।
  3. লবন।
  4. ঘি।
  5. এলাচ।
  6. দারচিনি।
  7. ফুড কালার সবুজ।
  8. বাদাম কুচি।
সবই পরিমান মত

কাঁচা পেঁপের হালুয়া বানানোর প্রস্তুত প্রণালী ।

পেঁপে ছিলে ছোট ছোট টুকরো করে কেটে ধুয়ে সেদ্ধ করে নিতে হবে। সেদ্ধ পেঁপে পাটায় বেটে /ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। চুলায় প্যান বসিয়ে তাতে পেঁপে বাটা দিয়ে দিতে হবে। সাথে দিতে হবে চিনি লবন। নাড়তে নাড়তে যখন পেঁপের পানি শুকিয়ে আসবে তখন দিতে হবে ঘি।একবারে বেশি ঘি দেয়া যাবে না।একটু পর পর একটু একটু ঘি দিয়ে নাড়তে হবে। এলাচ দারচিনি বাদাম কুচি ফুড কালার দিয়ে দিতে হবে। অনবরত নাড়তে হবে যাতে প্যানের গায়ে লেগে না যায়।হালুয়া নাড়তে নাড়তে যখন বেশ ঘন হয়ে আসবে এবং প্যানের গা ছেড়ে আসবে তখন ঘি ব্রাশ করা ট্রেতে ঢেলে চামুচ দিয়ে সমানভাবে হালুয়া ছড়িয়ে দিতে হবে। হালুয়া ঠান্ডা হলে নরমাল ফ্রিজে রেখে দিতে হবে এক ঘন্টা। ফ্রিজ থেকে নামিয়ে নিজের ইচ্ছে মত সেপে কেটে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে--কাঁচা পেঁপের হালুয়া।

Health Benefits of  Peper Halwa | কাঁচা পেঁপের হালুয়া এর পুষ্টির পরিমান ঃ


পেঁপে পুষ্টিকর একটি ফল। এই পেঁপে কাঁচা-পাকা দুই ভাবেই খাওয়া যায়।  ১০০ গ্রাম কাঁচা পেঁপেতে রয়েছে ৭.২ গ্রাম শর্করা, ক্যালোরি থাকে ৩২ কিলোগ্রাম, ভিটামিন সি ৫৭ মিলিগ্রাম, সোডিয়াম ৬.০ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম ৬৯ মিলিগ্রাম, খনিজ ০.৫ মিলিগ্রাম এবং ফ্যাট বা চর্বি থাকে ০.১ মিলিগ্রাম। নানা রোগের মহৌষধ হিসেবে কাজ করে এই ফল।পেঁপেতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ই ও এ। এগুলো ১০০ গ্রামে মাত্র ৩৯ ক্যালোরি দেয়। এতে বিদ্যমান অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট অতিরিক্ত ক্যালরি ও চর্বির পরিমাণ কমিয়ে দেয়।


মুগ ডালের হালুয়া  | Moong Dal Halwa Recipe|Soaked moong dal halwa|Halwa Recipe|Moong Dal Halwa

শীতকাল মানেই পিঠাপুলির উৎসব। বাড়িতে নানারকম মিষ্টি জাতীয় খাবার তৈরির ধুম লেগে যায়। গরম কাপড় পেঁচিয়ে, ধোঁয়া ওঠা গরম পিঠা বা মিষ্টান্ন খাওয়ার মজাই আলাদা। তার উপর নতুন বছর শুরু হলো আজ। নতুন বছর শুরু করার শুভ পদক্ষেপ কি মিষ্টি ছাড়া চলে! মজাদার মুগ ডালের হালুয়া বানিয়ে ফেলতে পারেন বিকেলের নাস্তায় কিংবা অতিথি আপ্যায়নে। শিশুদের জন্যও দারুণ পুষ্টিকর এই হালুয়া। 


মুগ ডালের হালুয়া বানানোর উপকরণ :

  1. মুগডাল-১কাপ।
  2. চিনি-১কাপ।
  3. ঘি-হাফ কাপ।
  4. গুড়া দুধ-১কাপ।
  5. এলাচ-২টি।
  6. দারচিনি-১টুকরা।
  7. বাদাম কিসমিস ইচ্ছানুযায়ি।

মুগ ডালের হালুয়া বানানোর প্রস্তুত প্রণালী ।

মুগডাল হালকা ভেজে নিতে হবে। ডাল পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে ১ঘন্টা। ডাল সেদ্ধ করে পাটায় মিহি করে বেটে/ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। চুলায় প্যান বসিয়ে তাতে ডাল নিয়ে বাদাম কিসমিস ছাড়া বাকি সব উপকরণ ডালের সাথে মিশিয়ে নাড়তে হবে। চুলার আচ মিডিয়াম থাকবে। অনবরত নাড়তে হবে যেন নিচে লেগে না যায়।নাড়তে নাড়তে একসময় হালুয়ার উপর ঘি উঠে আসলে নামিয়ে ঘি ব্রাশ করা ট্রেতে হালুয়া ঢেলে সমানভাবে ছড়িয়ে দিতে হবে। হালুয়া হালকা গরম থাকতেই পছন্দ মত আকারে কেটে তার উপরে বাদাম কিসমিস দিয়ে সাজিয়ে দিতে হবে। তাহলেই তৈরি হয়ে যাবে মুগ ডালের হালুয়া।

Health Benefits of  | মুগ ডালের হালুয়া  এর পুষ্টির পরিমান ঃ

উচ্চ আঁশ ও উদ্ভিজ্জ প্রোটিনের ভালো উৎস এই ডাল। কাঁচা মুগ ডালে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ভিটামিন-বি, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফোলেট, ম্যাঙ্গানিজ, কপার, জিঙ্ক ও ফাইবার। তাই এই ডাল যেমন সুস্বাদু, তেমনই পুষ্টিকরও। মুগ ডাল হজম করা খুবই সহজ। তাই বিভিন্ন রোগে রোগীকে মুগ ডালের খিচুড়ি খাবারের পরামর্শ দেন ডাক্তাররা। গর্ভবতী মহিলাদের জন্যও মুগের ডাল খাওয়া খুবই উপকারী।

Post a Comment

Previous Post Next Post