পুরান ঢাকার কাচ্চি বিরিয়ানি | Puran Dhakar Kacchi BirIyani

সহজ কাচ্চি বিরিয়ানি রেসিপি | পুরান ঢাকার সহজ বিরিয়ানি 

পুরান ঢাকার কাচ্চি বিরিয়ানি


কাচ্চি বিরিয়ানি নিয়ে আলাদা করে আর বলার কিছু নেই। কারণ কাচ্চি বিরিয়ানির নাম শুনলে সবারই জিভে জল আসতে বাধ্য। রেস্টুরেন্টে গিয়ে অর্ডার করে তো খাওয়া হয়,তারপরও   চাইলে ঘরেই তৈরি করতে পারেন সুস্বাদু এই খাবারটি।

কাচ্চি বিরিয়ানী খেতে সবাই পছন্দ করে । অনেকেই মনে করেন  এটা রান্না করা খুবই কঠিন।কিন্তু হলেও, তবে অসম্ভব কিছু নয়।

কাচ্চি বিরিয়ানি রান্নার উপকরণঃ 

১.গরু বা খাসির মাংস-১কেজি 

২.শাহী গরম মশলা গুঁড়া-২ চামচ 

৩.টকদই-১/৪-কাপ 

৪.পেঁয়াজ বেরেস্তা-১/২ কাপ

৫.কাঁচা পেঁপে বাটা খোসাসহ-১ টেবিল চামচ 

৬.বেরেস্তা ভাজা তেল-১/২ কাপ

৭.আদা-রসুন বাটা-২ চা চামচ 

 ৮.জিরা বাটা-১/২ চা চামচ

৯. ধনে গুঁড়া-১/৪ চা চামচ

১০. লাল মরিচের গুঁড়া-১ চা চামচ 

পোলাও এর জন্য :

১.পোলাও বা বাসমতি চাল-১/২ কেজি

২. শাহী জিরা-১/৪ চা চামচ

৩.লবন-১ চা চামচ

৪. লেবু চাকা করে কাটা-২ টুকরো 

৫.তেল-২ টেবিল চামচ 

অন্যান্য :

আলুবোখারা-৭টি 

বেরেস্তা-১/২ কাপ

কেওড়া জল- ১ চা চামচ 

ঘি-২ টেবিল চামচ 

স্যাফ্রন- ১ চিমটি 

ছোট আলু- ৫টি 

কাঁচামরিচ- ৭টি

কাচ্চি বিরিয়ানি রান্নার পদ্ধতিঃ 

মাংসের জন্য যে উপকরণগুলো রাখা হয়েছে তা একসাথে মেখে ঢেকে কমপক্ষে ৪ ঘন্টা রেখে দিন। কাঁচা পেঁপে বাটা দেয়ার জন্য মাংস অনেক নরম থাকবে এবং তাড়াতাড়ি সেদ্ধ হয়ে যাবে। মাংস গুলো একটু বড় বড় পিস করে কেটে নেয়ার পর সবগুলো উপকরণ দিয়ে খুব ভালো করে চেপে মাখিয়ে নিবেন। এখানে যে গরম মশলা টা ব্যবহার করা হয়েছে সেটা ঘরে তৈরী করা।এটা আপনি যেকোনো মাংস জাতীয় খাবারে  করতে পারেন।

৪ঘন্টা পরে ,মেখে রাখা মাংস যে হাড়িতে রান্না করতে চান সেটাতে সমান করে ঢেলে ২ কাপের মতো পানি দিয়ে দিন ।  বড়সড় কোনো ছড়ানো পাত্র নিলে ভালো হয়। তারপর ৩ টেবিল চামচ উষ্ণ গরম দুধে স্যাফ্রন ভিজিয়ে রাখবেন ,চাল গুলো ৩০ মিনিট আগে পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। তারপর পানিটা নিংড়ে নিবেন। আলু ছুলে সামান্য পরিমান অরেঞ্জ ফুডকালার দিয়ে মাখিয়ে একটু সময় তেলে ভেজে নিন।

একটা সসপ্যানে যে কয় কাপ চাল তার দ্বিগুন পানি দিয়ে  ফুটতে দিন। পানি বেশি গরম হয়ে গেলে পোলাও এর জন্য রাখা সব উপকরণ ঢেলে দিন। চাল অর্ধেক সেদ্ধ হলে নামিয়ে একটা ছাঁকনিতে করে পানি ঝরিয়ে নিন । লেবু দেয়ার জন্য  দেখবেন  ভাতগুলু ঝকঝকে হবেএবং তেল দিলেও ঝরঝরে হবে।

এখন যে হাড়িতে মাংস ঢেলে রেখেছিলেন তার ওপরে ভাজা আলু, কাঁচামরিচ ও আলুবোখারা দিয়ে দিন। তারপরে পানি ঝরানো আধাসেদ্ধ চালগুলো বিছিয়ে দিন।  এবার এর উপর বেরেস্তা, ঘি , কেওড়া জল ও দুধে ভেজানো স্যাফ্রন দিয়ে  ভালো করে ঢাকনা লাগিয়ে দিন।ঢাকনার চারপাশে ময়দা দিয়ে তৈরী খামির দিয়ে সিল করে দিতে পারবেন,

এখন চুলা জ্বালিয়ে তার ওপর একটা তাওয়া দিন, তাওয়া ঠিকমতো গরম হলে আঁচ একেবারে কমিয়ে দিন এবং এর উপর বিরিয়ানির হাড়ি টা বসিয়ে দিন এক থেকে দেড় ঘন্টা অপেক্ষা করুন । এই সময়ের মধ্যে নিচের মাংসগুলো সেদ্ধ হয়ে যাবে তার সাথে ভাপে উপরের ভাতগুলোও। ভয়ের কিছু নেই বেশি সময় ধরে মেরিনেশন ও কাঁচা পেঁপে দেয়ার জন্য মাংসগুলো  পারফেক্ট ভাবে সেদ্ধ হয়ে যাবে।

হয়ে গেলে ঢাকনা খুলে একবার পরিবেশন করুন গরম গরম কাচ্চি।

খাবার পর মিঠা হিসেবে রাখতে পারেন মিষ্টি দই  বা আপনার পছন্দের যে কোনো মিষ্টি জাতীয় খাবার।

Post a Comment

Previous Post Next Post