গরুর মাংসের স্পেশাল কাবাব রেসিপি | Beef Kabab Bangla Recipe

ঘরোয়া মসলায় গরুর মাংসের কাবাব | Biye Barir Kabab Recipe 
গরুর মাংসের স্পেশাল কাবাব রেসিপি

কাবাব রেসিপি:

কাবাব শব্দটা প্রথমেই মনে আসে বিহারী কাবাবের নাম। তবে এটার আসল নাম বিহারী কাবাব হলেও বাংলাদেশে এটা শিক কাবাব নামেই অধিক পরিচিত। ইন্ডিয়া পাকিস্তানে শিক কাবাব  তৈরি করা হয় মাংসের কিমা দিয়ে, কিন্তু আমাদের দেশে শিক কাবাব বলতে পাতলা করে কাটা মাংসকে শিকে মধ্যে গেঁথে বানানো কাবাবকেই বোঝানো হয়,আসলে সেটা বিহারী কাবাব।

চলুন দেখে নেয়া যাকএই বিহারি কাবাব বা বাংলাদেশী শিক কাবাব বানাতে কি কি প্রয়োজন।


রান্নার  উপকরণ:

১.গরুর মাংস -১/২ কেজি(পাতলা করে কাটা)

২.সরিষার তেল-২০০ মিলি

৩.কাঁচা পেঁপে -৪ টেবিল চামচ (খোসাসহ বাটা )

 ৪.আদা ও রসুন বাটা-২ টেবিল চামচ

 ৫.দই -১ কাপ ( পানি ঝরানো )

৬.পেঁয়াজ ভাজা-১ কাপ 

৭.ধনে গুঁড়া-১ চা চামচ

 ৮.লবণ-১ চা চামচ

৯.গরম মশলা গুঁড়া-১/২ চা চামচ 

১০.জিরা গুঁড়া-১ চা চামচ

১১. হলুদ গুঁড়া১/২ চা চামচ

১২.লাল মরিচ গুঁড়া-১/২ চা চামচ

১৩. জয়িত্রি গুঁড়া-১/২ চা চামচ

১৪.জায়ফল গুঁড়া-১/২ চা চামচ

১৫.চিলি ফ্লেক্স-১ টেবিল চামচ

১৬.গোলমরিচ গুঁড়া-১ চা চামচ


কাবাব রান্নার পদ্ধতি:

সব উপকরণ দিয়ে মাংসটাকে মেখে ভালো করে মুখ বন্ধ করে ১৮ থেকে ২৪ ঘন্টা নরমাল ফ্রিজে রেখে দিন। এবার ফ্রিজ থেকে বের করে শিক এ পেঁচিয়ে গেঁথে নিন।

একটা সসপ্যানে একটু তেল ব্রাশ করে কাবাব গুলো ২-৩ মিনিট পরে পরে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ভাজতে থাকুন।একটু পর দেখবেন মাংস থেকে তেল ও পানি ছাড়ছে। ওই তেল ও পানি গুলোই বার বার কাবাবের উপর ব্রাশ করে দিন।

এইভাবে করতে করতে যখন দেখবেন কাবাব সেদ্ধ ও পোড়া পোড়া হয়ে গেছে তখন প্যানের মাঝখানে একটা গরম কয়লা ফয়েল পেপারে রেখে তার উপরে একটু তেল ঢেলে দিন এবং সাথে সাথে ৩ থেকে ৪ মিনিটের জন্য ঢেক দিন। তারপর কয়লা থেকে বের হওয়া ধোঁয়া কাবাবে এক অসাধারণ বি.বি.কিউ ফ্লেভার নিয়ে আসবে। যে কাবাবটি খাবে সে তো ধরতেই পারবে না যে কাবাবগুলো আপনি চুলায় করেছেন না কোথায় করেছেন।


কাবাব রান্নার  টিপস:

প্রথম শর্ত হলো মাখানো যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কাজ। সমস্ত মশলা দিয়ে অন্তত ১৮ থেকে ২৪ ঘন্টা মাংসটাকে মেখে রাখতে হবে। কম সময় রাখলে ফলাফল বেশি ভালো আসবে না।

যেহেতু মাংসের কোনো প্রকার পানি যাবে না তাই মাংসটাকে ভালোভাবে সিদ্ধ ও নরম করতে কাঁচা পেঁপে খোসা সহ বেটে মাখাতে হবে।

তবে অবশ্যই সরিষার তেল ব্যবহার করতে হবে, সয়াবিন তেল নয়।

পেঁয়াজ বেরেস্তা ও দই আলাদা করে না দিয়ে একসাথে ব্লেন্ড করে পেস্ট বানিয়ে দিবেন। এটা কিন্তু জরুরি। আর কোনো উপকরণ বাদ দেওয়া যাবে না।

যেহেতু আমরা চুলায় কাবাব করব, সেহেতু চুলায় করা কাবাবটাতে বারবিকিউ ফ্লেভার আনতে অবশ্যই কয়লার ব্যবহার করতে হবে। প্রণালীতে বলা আছে সেটা কিভাবে করবেন। এতে করে সুন্দর স্মোকি ফ্লেভার আসবে তবে না করলে কাবাবের স্বাদের পরিবর্তন হবে না।

মাংসটাকে টুকরো করে না কেটে পাতলা স্ট্রিপ এর মত করে কেটে নিবেন। এতে মাংসের ভেতর পর্যন্ত মশলা ঢুকবে খেতে আঁশ আঁশ লাগবে না।

মেটাল শিক ব্যবহার করলে তেল মেখে নিলে হবে। কিন্তু যদি ব্যাম্বু স্টিক নেন তাহলে অবশ্যই কাবাব বানানোর জন্য ৩০ মিনিট আগে পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। তাহলে রান্নার সময় এটা আর জ্বলে যাবে না।

এর পুষ্টির পরিমান

Post a Comment

Previous Post Next Post