সহজ কাঁচা আমের আচার রেসিপি | আমের টক-ঝাল-মিষ্টি আচারের রেসিপি
আমের আচার !
আমরা বিভিন্নধরণের আচার খেয়ে থাকি। এরমধ্যে গরমের সময়ে আমের শুরুতে সকল বাড়িতেই আমের আচার তৈরি করা হয়। মা অথবা দাদুর হাতের তৈরি সেই আচারের স্বাদ যেন তুলনাহীন।সেই আচার দেখলেই জিভে জল চলে আসে। আমের আচার সচররাচর কাঁচা আম দিয়ে তৈরি করা হয়। কাঁচা আমের আচারগুলো খেয়ে আমরা খুবই তৃপ্তি পাই। আমরা এখন বিভিন্নভাবে ও বিভিন্ন মসলা দিয়ে আমের আচার তৈরি করে থাকি। কিন্তু নানী -দাদির হাতের তৈরি আচারের সেই স্বাদ এখন আর পাওয়া যায় না। অতঃপর আমার এই টক, ঝাল, মিষ্টি আচারের রেসিপি দিয়ে আপনাদের পুরোনো সেই স্বাদ ফিরিয়ে দেবে। খুব সহজ উপায়ে আপনারা নিজেরাই এই আমের আচার রেসিপি তৈরি করে নিতে পারেন। দেখবেন এই আচারগুলু আপনার চেটে পুটে খেতে ইচ্ছে করবে। চলুন দেখে নেয়া যাক খুব কম সময়ে কিভাবে তৈরি করা যায় এই আমের আচার রেসিপিটি।
আমের আচার বানানতে কি লাগে বা রেসিপি উপকরণ :
১.আম ৫০০গ্রাম
২.তেল - ৩ চামচ
৩.লবন -পরিমান মতো
৪.আখের গুড় –৩০০ গ্রাম
৫.তেজপাতা – ২ টি
৬.পাঁচফোড়ন- ১ চামচ
৭.মেথি – ১ চা চামচ
৮.শুকনো মরিচ – ৫ টি
৯.মৌরি – ১ চামচ
১০.ধনিয়া গুড়ো – ১ চামচ
১১.জিরে গুড়ো – ১চামচ
১২.হলুদ –১ চামচ
আমের আচার তৈরি করার পদ্ধতি :
শুরুতে কাঁচা আমগুলোকে টুকরো টুকরো করে কেটে নিন তারপর লবন ও হলুদ দিয়ে মাখিয়ে নেবেন। এরপর এই আমের টুকরোগুলোকে ৪-৫ ঘন্টার জন্যে রোদে শুকোতে দিবেন। এখন একটি বাটিতে মসলা তৈরি করে নেবেন। এরজন্যে একটি শুকনো খোলাই মেথি, শুকনো মরিচ, মৌরি, জিরে ও ধনে হালকা করে ভেজে নেয়ার পর ভাজা মসলাটি গুঁড়ো করে নেবেন। তারপর শুকোতে দেওয়া আম গুলোকে রোদ থেকে নিয়ে আসতে হবে। এবং আখের গুড় ২ কাপ জলের মধ্যে ভিজিয়ে রাখুন যাতে তা গলে গুড় হয়ে যায়
এখন একটি কড়াইতে তেল দিয়ে ভালো করে গরম করে নিন। তেল ভালো মত গরম হয়ে গেলে তাতে তেজপাতা ও পাঁচফোড়ন দিয়ে দিন। ফোরণগুলো একটু ভাজা হয়ে গেলে তাতে আমগুলো দিন।
আমগুলো ভালো করে নাড়াচাড়া করে গুলে রাখা আখের গুড় দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। দরকার হলে একটু পানি দিয়ে দিতে পারেন। এবার ঢাকনা দিয়ে ঢেকে ৫ মিনিট হতে দিন।
৫ মিনিট পর ঢাকনা খুলে দেখুন আমগুলো নরম হয়ে এসেছে। এবার ভাজা মসলার গুঁড়ো দিয়ে আমগুলোর সাথে ভালো করে মিশিয়ে নিন । এরপরে আরো ২ মিনিটের জন্যে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখুন।এবার ঢাকনা খুলে নিয়ে আমগুলো ভালো করে নাড়াচড়া করে নিয়ে নামিয়ে ফেলুন। তারপর ঠান্ডা করে কাঁচের বয়ামে রেখে সংরক্ষণ করুন। অনেক দিন পর্যন্ত আমের আচার ভালো রাখার জন্য কাঁচের বয়ামে রেখে মাঝে মাঝে রোদে শুকাতে দিতে পারেন।
মনে রাখবেন ;
মসলাটি যেন বেশি ভাজবেন না। গুড়ের পরিবর্তে আপনারা চিনি ব্যবহার করতে পারবেন।
আমের আচার খাওয়ার উপকারিতা :
স্বাস্থ্যকর: আমের আচারে আমের পুষ্টিগুণ থাকে, যা শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। আমের আচার ক্যালসিয়াম, পোটাসিয়াম, ভিটামিন সি, ভিটামিন এ ইত্যাদি পুষ্টি সর্বনিম্ন খাবারে যোগ করতে সাহায্য করে, যা স্বাস্থ্যের দিক থেকে গুণকারী।
ডায়েটের অধিকতর রুচিরহিত খাবারে স্বাদ যোগ করে: আমের আচার দ্বারা তৈরি আমের স্বাদ এবং আরোগ্যকর খাবারে স্বাদ যোগ করতে সাহায্য করে। এটি রান্না দ্বারা মজার স্বাদ এবং আমের আচার দ্বারা স্বাদপ্রাপ্ত খাবারে অধিক রুচি যোগ করতে সাহায্য করতে পারে।
পাচনে সাহায্যকারী: আমের আচারে সিট্রিক এসিড থাকে, যা পাচনে সাহায্য করতে পারে। এটি খাবারের পাচনের সময় স্থিরতা এবং স্থিতিশীলতা যোগ করতে সাহায্য করতে পারে, যা আপনার ডায়েটের ভিত্তি বেশি কিছু সময় খাবারের পাচনে সাহায্য করতে পারে।
অ্যান্টি ক্সিডেন্ট : আমের আচারে ভিটামিন সি ও অন্যান্য অ্যান্টি ক্সিডেন্ট থাকে, যা মুক্ত রেডিকাল এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি সাম্প্রদায়িকরণে সাহায্য করতে পারে।
তবে, মন্তব্য করা গর্ভবতী মহিলাদের এবং শিশুদের জন্য আমের আচার খাওয়া উচিত না, কারণ এটি অস্থিরতা এবং শিশুদের প্রথম খাবারে উপযুক্ত নয়। স্বাস্থ্যগত সমস্যার সাথে সাথে আমের আচার খাওয়া উচিত নয়, এবং কোনও অধিক পরিমাণে খাওয়া উচিত নয়। আমের আচার খাবারে যদি আপনির কোনও অ্যালার্জি বা প্রতিক্রিয়া