ইতালিয়ান চীজ পিৎজা / Italian Best Cheese Pizza Bangla Recipe

ইতালিয়ান চীজ পিৎজা | পিজ্জা বানানোর উপকরণ

By Chef Salman Nishan 

পিৎজা হল ইতালীয়  একটি জাতীয় খাবার  যা সাধারণত রুটির মতো গোল বা কিছুটা চেপ্টা করে তৈরি করা হয়ে থাকে,  গম-ভিত্তিক ময়দার  খামির এরা উপরে টমেটো, পনির এবং  নানান ধরনের উপাদান থাকে দেওয়া হয়ে থাকে,এছাড়া স্থান, সংস্কৃতি এবং রুচি ভেদে আরো অনেক কিছুই যোগ করা হয়, যেমন মাংস বা পেঁয়াজ কুচি, রসুন, মাসরুর।তার পরে একটি গরম তাপমাত্রা যুক্ত, ঐতিহ্যগত ভাবে কাঠ-চালিত চুলায় তৈরি  করা হয়। ইতালীয়াদের এটি একটি প্রধান খাবার, এই পিৎজা ইতালীয় মানুষ তাদের জাতীয় পিঠা হিসেবে মানে।

 এই পিৎজা এখন  বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় একটি খাবার এর তালিকায় রয়েছে। এই খাবারটির উদ্ভাবন মূলত ইতালির নেপলস শহরে। এই পিঠা  সারা বিশ্বে ছড়িয়ে আছে এবং সব বড় শহরেই রেস্টুরেন্ট যথেষ্ট পরিচিতি ও জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।  ।ইতালির নেপল্‌স শহরের বিখ্যাত নেপোলিটান পিৎজা

পিৎজার আসল উৎপত্তি ও তৈরি করার যায়গা এখনও মানুষের অজানা হওয়া সত্বেও মনে করা হয় যে, খুব সম্ভবত, এই ধরনের খাবারের উৎপত্তি রোমানীয়  পাতলা রুটি ফোকাসিয়া থেকে। অনেক এ মনে করে ১৮৫০  থেকে ১৯২০ শতক এর দিকে ইতালির নেপলসে আধুনিক পিৎজা নামক এই পিঠা তৈরি হয়েছে, সেইজন্য এর তখনকার দিনে তার নাম ছিল নেপোলি পাই । তবে প্রাচীন গ্রিক, মিশরীয় খাবারেও এর কিছু মিল পাওয়া যায়। প্রাচীন গ্রিকরা তাদের রুটি ওপরাংশে তেল, লতা পাতা এবং পনির দিয়ে আগুনে সেঁকে খেত। এছাড়া প্রাচীন রোমানরা এটিকে একটু উন্নত করে পাতলা রুটির ওপর পনির, মধু লাগিয়ে খেত। তবে ১৬২২ সাল নাগাদ যখন টমেটো এবং সেই জাতীয় সবজি পেরু থেকে ইউরোপে ব্যবসার কারণে আসে, তখন বিষাক্ত ফল মনে করে সেগুলো খেতো না এবং তা গরিব মানুষদের কাছে সস্তা ছিল। তারা তখন  ময়দা এর এর সাথে ইস্ট মিশিয়ে খামির তৈরি করে তাতে টমেটো ও অন্যান্য মশলা দিয়ে খেতে শুরু করে, ও পরবর্তীতে তা বিশেষ জনপ্রিয়ও হয়। অনেক লোক ইতালির নেপলস অঞ্চলের বেকার ছিলো রাফায়েল এস্পোসিটোকে প্রথম খাবারটি তৈরি করে দেখলেন।তিনি এই পিৎজা ১৮০০ থেকে ১৮৫০ শতকে দিকে রাজা উম্বেরত ও রানী মারগারিটার জন্য চীজ, বেসিল, টমেটো সহযোগে বানিয়েছেন, যা তাঁদের খুবই পছন্দ হয়েছে এবং তখন থেকে এর নাম 'পিৎজা মারগারিটা' রাখা হয়। পিৎজার দোকান খোলা হয় নেপলসের পোর্ট অ্যালবাতে, যা আজও উপস্থিত আছে। এখন পিৎজার  প্রচলন প্রায় গোটা বিশ্বেই দেখা যায়। বিভিন্ন স্বাদ এর পিৎজা তৈরি হয়ে থাকে হোটেল, রেস্টুরেন্ট, বাসাবাড়িতে । এর তৈরির ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলছে।


ইতালিয়ান পিজ্জা বানানোর উপকরণ :

! ময়দা ৩ কাপ

! হুইট ময়দা ৩ কাপ

! লবণ স্বাদ মতো

! গার্লিক পাউডার ১/৩ চা চামচ 

!  ইষ্ট ২ ১/২ চা চামচ (বেকিং সোডা ব্যবহার করতে পারেন)

! চিনি ২ টেবিল চামচ

! অলিভ অয়েল বা অন্য তেল  ৬-৭ টেবিল চামচ

!   কুসুম গরম দুধ ও পানির মিশ্রন ১ কাপ

! সস প্রয়োজন মতো

১০! চীজ পরিমান মতো

ইতালিয়ান চীজ পিৎজা প্রস্তুত প্রণালী:

১।প্রথমে  আমরা একটা বড় বাটি তে ময়দা একসাথে নিয়ে এতে লবণ, গার্লিক পাউডার, ইষ্ট/বেকিং সোডা, চিনি দিবো ও ভালো করে মিশিয়ে নিবো। এরপর তেল দিয়ে ভালো করে মাখাবো । এরপর দুধের মিশ্রণটি দিবো। এবার ভালো করে মেখে নরম ডো তৈরি করে রাখবো।  আরও পানি লাগলে  এর সাথে কুসুম গরম পানি ব্যবহার করবো।

২। এর পর ময়দাদিয়ে ভালো করে ডো ময়ান করতে হবে যাতে ডোটি মসৃণ হয়। এভাবে অল্প করে ময়দা নিয়ে ৫ মিনিট ময়ান করলেই ডো তৈরি হয়ে যাবে  । এবার ডোটি গরম স্থানে ২০-২৫ মিনিট রেখে দিলে ফুলে উঠবে ।

৩।একটি বড় গভীর ফ্রাইং প্যান নিয়ে ।আঁচে চুলায় গরম করতে থাকুন। এরমাঝে ডো থেকে পছন্দমতো আকারের পিৎজা বানানোর জন্য পরিমাণ মতো ডো নিয়ে রুটি বেলার মত বেলে নিবো বা হাতে চেপে বা বেলন দিয়ে গোল করে পছন্দমতো চিকণ গোল ক্রাস্ট তৈরি করে নিতে হবে।

৪। এবার পিৎজার ডোটি বেলার পর এর উপরে টমেটো সস ঢেলে ছড়িয়ে দিবো। এরপর  গ্রেট করা চীজ দিয়ে দিবো। এর পর পিৎজা ট্রেতে করে পিৎজা ওভেন এ দিতে হবে ৭ থেকে ১০ মিনিট ১৮০°c ব্রেক করতে হবে।

৫। চীজ গলে গেলেই পিৎজা তৈরি। এর পর গরম গরম  পরিবেশন করতে হবে।

৬। নিজের পছন্দমতো মুরগির মাংস ,গরুর মাংস ,সি ফুড ব্যবহার করে পিৎজা তৈরি করে নিতে পারেন। 

ইতালিয়ান চীজ পিৎজা এর পুষ্টির পরিমান :

  • ক্যালোরি  ২৮৫ গ্রাম
  • ফ্যাট ১০.৪গ্রাম 
  • প্রোটিন ১২.২ গ্রাম

  1. Calories: 285.
  2. Fat: 10.4g.
  3. Sodium: 640mg.
  4. Fiber: 2.5g.
  5. Sugars: 3.8g.
  6. Protein: 12.2g
  7. Total Carbohydrate 33 g 11%
  8. Dietary fiber 2.3 g 9%
  9. Sugar 3.6 g
  10. Vitamin C 2% Calcium 18%
  11. Iron 13% Vitamin D 0%
  12. Vitamin B6 5% Cobalamin 6%
  13. Magnesium 6%


Post a Comment

Previous Post Next Post