হাঁসের মাংস রান্না করার রেসিপি ও এর উপকারী ও অপকারী দিক ❤❤❤ Recipes for cooking duck meat and its beneficial and harmful aspects ❤❤❤

হাঁসের মাংস রান্না করার রেসিপি ও এর উপকারী ও অপকারী দিক 

হাঁসের মাংস রান্না করার রেসিপি


হাঁসের মাংস অতি সুস্বাধু খাবার।এই খাবার প্রায় সবাই  পছন্দ করে। হাঁসের মাংস বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানে অতি জনপ্রিয় রান্নার মধ্যে অন্যতম একটি রান্না হিসেবে পরিচিত। এটি সাধারণত গ্রিল, তেলে ভাজা, স্টিউ করা বা বিচিত্র স্পাইস ও মসলা দিয়ে করা হয়। তাছাড়া ভাতের সাথে হাঁসের মাংস  তরকারী হিসেবে সবচেয়ে বেশী ব্যবহৃত হয়।   নীচে হাঁসের মাংস রান্না করার একটি সহজ রেসিপি দেওয়া হল।

উপকরণ: নিচে হাঁসের মাংস রান্না করার একটি সহজ রেসিপি শেয়ার করা হল-

  • ১ কেজি হাঁসের মাংস (পিস)
  • ২ টেবিল চামচ লেবুর রস
  • ১ টেবিল চামচ জিন্জার রস
  • ১ টেবিল চামচ লবণ
  • ১ চা চামচ হলুদের গুঁড়া
  • ১ চা চামচ গরম মসলার গুঁড়া
  • ১ চা চামচ লাল মরিচের গুঁড়া
  • ১ কাপ পানি
  • ২ টেবিল চামচ তেল


প্রস্তুতি পদ্ধতি: নিচে হাঁসের মাংস রান্না করার পদ্ধতি তুলে ধরা হল – 

১. গরম পানিতে হাঁসের লোম বা পলক তুলে ফেলুন। কেউ কেউ উপরে চামড়াসহ উপড়ে ফেলে দেন। এতে চামড়ার সাথে ফ্যাট বা চর্বি চলে যাওয়ায় কেউ কেউ মনে করেন এতে স্বাদ কমে যায়। আপনার যেমন পছন্দ তেমনভাবে পলক তুলে ফেলুন।অতপর  হাঁসের মাংস ধুয়ে পরিষ্কার করুন এবং পানি দিয়ে ছেকে ধুয়ে নিন। মাংসটিকে ছোট ছোট টুকরায় কেটে নিন। আপনার পছন্দ সত টুকরো করতে পারেন। বেশী বড় টুকরো না করাই ভাল। সিদ্ধ হতে সমস্যা হতে পারে তাই মাঝারী সাইজে কেটে সাইজ করে নিন। পুনরায় মাংস ধুয়ে পরিষ্কার করে ছেকে তুলে রাখুন একটি পরিষ্কার পাত্রে।

২. একটি বাটিতে লেবুর রস, জিন্জার রস, লবণ, হলুদের গুঁড়া, গরম মসলার গুঁড়া এবং লাল মরিচের গুঁড়া মিশিয়ে নিন। এটি ভালোভাবে মাংসের সাথে মিশিয়ে দিন। মাংসে মসলা লাগানোর জন্য আপনি একটি  কাটা চামচ ব্যবহার করতে পারেন। মাংসে মসলা মাখার পর, এটিকে ঠান্ডা স্থানে রেখে দিন কিছু সময় যাতে মাংস মসলার সাথে ভালোভাবে লেগে যায়। মাংসে মসলা মাখানোর পর সাধারণত ১ ঘন্টা  রেখে দেয়া হয়।

৩. মাংসের মসলা মাখানোর পর, একটি পাত্রে তেল গরম করুন। অতপর  মাঝারি তাপে তেল ঠাণ্ডা হয়ে গেলে, মাংসগুলো তাতে ছেড়ে দিন। মাংস গুলো ভাজতে থাকুন এবং ভালোভাবে সিদ্ধ হওয়া পর্যন্ত  ভাজুন। ভাজা হয়ে গেলে মাংস তুলে নিন।

৪. একটি কড়াইতে পানি গরম করুন। এখন মাংসটিকে কড়াইতে ছেড়ে দিন এবং এটিকে নাড়িয়ে তুলে নিন। একটি ফিটিং লিড দিয়ে বা ঢাকনা দিয়ে পাত্রটি ঢাকুন এবং মাঝারী তাপে রেখে দিন। এটি ১ ঘন্টা ধরে পানিতে রাখুন যাতে মাংস নরম হয়ে যায়।

৫. মাংসটি নরম হয়ে গেলে তাতে ঠাণ্ডা জল দিয়ে পুনরায় গরম করুন।  জল পরিমাণমত দিন যাতে বেশী ঝাল না হয় আবার টেস্ট নষ্ট না হয়। ৫/৭ মিনিট এভাবে রাখার পর ভাতের সাথে গরম গরম পরিবেশন করুন।

এইভাবে, আপনি সহজেই হাঁসের মাংস রান্না করতে পারেন। আশা করি আপনার হাঁসের মাংস রান্না সুস্বাদু হবে এবং আপনি এটি উপভোগ করবেন। 

হাঁসের মাংস রান্না করার রেসিপি


হাঁসের মাংস খাওয়ার উপকারী দিকগুলো নিম্নরূপ:

স্বাস্থ্যকর প্রোটিন সোর্স: হাঁসের মাংস প্রোটিনের উচ্চ উৎস হিসাবে বিবেচিত হয়। এটি পুষ্টিকর প্রোটিন এমনকি পূর্ণাঙ্গ এসেনশিয়াল এমিনো অ্যাসিড ও ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স প্রদান করে। প্রোটিন মানেই হাড় গঠন করে, কোষ পুনর্নির্মাণ করে এবং শরীরের প্রতিস্থাপন প্রক্রিয়াগুলি সঠিকভাবে স্বচল রাখে তাই, হাঁসের মাংস   দ্রুত শরীরের শক্তি প্রদান করে এবং পুষ্টিকর খাদ্য মানে পরিনতি করে।

মিনারেল সোর্স: হাঁসের মাংস বিভিন্ন মিনারেল যেমন আয়রন, জিংক, সেলেনিয়াম, পটাসিয়াম, ফসফোরাস ইত্যাদির উচ্চ উৎস। এই মিনারেলগুলো স্বাস্থ্যকর হয়ে থাকে কারণ এগুলো শরীরে হেমোগ্লোবিন তৈরি, খাদ্য পরিপাক, হাড় ও দাঁতের মজবুত করে, মস্তিষ্কের কাজকর্ম ইত্যাদি প্রভাবিত করে।

ভিটামিন সোর্স: হাঁসের মাংস পাচ্ছন্ন ভিটামিন যেমন ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স, ভিটামিন ডি, ভিটামিন কে ইত্যাদির উচ্চ উৎস। এই ভিটামিনগুলো শরীরের প্রোটিন এবং মিনারেল প্রক্রিয়ার জন্য প্রয়োজন হয় এবং নিয়মিত খাওয়া হাঁসের মাংস আপনাকে ভিটামিন সরবরাহ করে।

হাঁসের মাংস রান্না করার রেসিপি


হাঁসের মাংস খাওয়ার কিছু অপকারী দিকগুলোঃ তবে, হাঁসের মাংস খাওয়ার কিছু অপকারী দিক রয়েছে। নিতে তা তুলে ধরা হল -

এলকোহল পরিবেশন: হাঁসের মাংস খাওয়ার সময় আপনি এলকোহল  থেকে সাবধান থাকতে হবে। এক্ষেত্রে হাঁসের মাংস এবং এলকোহলের  সমন্বয় অনুপযুক্ত হতে পারে এবং স্বাস্থ্যকর সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

এলার্জির ঝুঁকি: কিছু মানুষের মধ্যে হাঁসের মাংসের প্রতি এলার্জি থাকতে পারে। যদি আপনার হাঁসের মাংসের প্রতি এলার্জি আছে জানেন, তবে আপনার এই খাদ্যটি খাওয়া উচিত নয়।

সামাজিক প্রতিষ্ঠানের প্রভাব: কিছু সামাজিক প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা হাঁসের মাংস খাওয়াকে উচিত মনে করে না বা উপযুক্ত মনে করে না। এটি আপনার সামাজিক পরিবেশের প্রভাব থাকার কারণে বিশেষত কিছু সামাজিক ওয়েলফেয়ার কর্মীরা  সমস্যা  সৃষ্টি করতে পারে। তাই সাবধানে থাকবেন। কিছু জাতের হাঁস রয়েছে যা ধরা বা শিকার করা নিষেধ।

উপরোক্ত উল্লেখিত উপকারী ও অপকারী দিকগুলো হাঁসের মাংস সামগ্রিকভাবে খাওয়ার সময় পরিবেশন এবং সংগ্রহশীল পরিবেশের উপর নির্ভর করবে। আপনার ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য অবস্থা, পরিমাণ ও গুণমানের অভাব, স্থানীয় পরিস্থিতি এবং পরিবেশের মান বিবেচনা করে হাঁসের মাংস খাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। সর্বশেষে, স্বাস্থ্যকর খাদ্য পরামর্শের জন্য সহজেই আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করতে পারেন।


লেখক- ওবায়দুল হক
রবিরবাজার, কুলাউড়া।


2 Comments

  1. অনেক ভালো লেগেছৈ। ্

    ReplyDelete
  2. Thanks for this good recipe, i was looking for a good duck recipe and i found this one.

    ReplyDelete
Previous Post Next Post