দোসা খাবার হলো একটি প্রসিদ্ধ দক্ষিণ ভারতীয় খাবার। বাংলাদেশ ও পাকিস্থানে দোসা বেশ জনপ্রিয়। দোসা মূখ্যত ডাল এবং চাউল দিয়ে তৈরি করা হয়ে থাকে। দোসা বেশ সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর নাস্তা হিসাবে পরিচিত। নিচে দোসা খাবার তৈরির রেসিপি দেওয়া হলো এবং পরিশেষে এর উপকারীতা নিয়ে আলোচনা হবে।
দক্ষিণ ভারতীয় খাবার দোসা তৈরি হবে ঘরেই
দোসা তৈরি করতে যে সকল উপকরণ লাগবে তার তালিকা তৈরি করি - চাল ও ডালের পরিমাণের সাথে অন্যান্য উপকরণ পরিবর্তন করে নিতে হবে।
- ১ কাপ বাসমতি চাল
- ১/২ কাপ উড়দ ডাল
- ১/৪ কাপ চানার ডাল
- ১ চা চামচ মেথি দানা (পেস্ট করা)
- ১ চা চামচ পাউরুটি পাউডার
- ১ চা চামচ আদা রস
- ১ চা চামচ ইঞ্জি (আদা আর পেস্টের মিশ্রণ)
- লবণ স্বাদমতো
- পানি (প্রয়োজনে যতটুকু লাগে)
দোসা প্রস্তুতি পদ্ধতি: দোসা যেমন ঝটপট খাবার তেমন ঝটপট রান্না করে নেয়া সম্ভব যদি আগে থেকে প্লান করে রাখেন। চাল ও ডাল আগে থেকে ভিজিয়ে রাখতে হয়। তাই এই খাবারটি তৈরি করার প্লান থাকলে সেভাবেই আগে থেকেই প্লান করতে হবে। নিচে ধারাবাহিকভাবে দোসা তৈরির পদ্ধতি তুলে ধরছি।
১। প্রথমেই বাসমতি চাল, উড়দ ডাল, চানার ডাল ভালভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে।
২। চাল ও ডাল সঠিক ভাবে ভেঙে নিতে যাতে একসাথে মিশে যায়।
৩। ভেঙ্গে নেয়ার পর সামান্য পানি দিয়ে এটাকে ব্যাটার বা পেস্ট এর মতো করে নিতে হবে।
৪। এবারে অন্য একটি পাত্রে মেথি দানা, পাউরুটি পাউডার, আদা রস, ইঞ্জি আর লবণ মিশিয়ে নিয়ে। সবকিছুই ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে।
৫। পানিতে ভিজিয়ে রাখা ডাল-চাল মিশ্রণে আপনার তৈরি করা নতুন এই মিশ্রণটি মিশিয়ে দিন। এটি সঠিক পরিমাণে মিশ্রণ হলে কযেক মিনিটের মধ্যেই গোল গোল্লা তৈরি উপযোগী হবে।
৬। মিশ্রণটিকে আরও নিখুত করার জন্য মিক্সার ব্যবহার করতে পারেন। মিক্সারে মিশ্রণটি ব্লেন্ড করুন যাতে এর কনসিস্টেন্সি মিশে গিয়ে ফুলে উঠে এবং গোল গোল্লা বানানো যায়।
৭। এবার আপনার মিশ্রণটিকে ৫-৬ ঘণ্টা ফার্ম করুন। এজন্যই যখন দোসা পরিবেশন করার চিন্তা করবেন তার ৫/৬ ঘন্টা পূর্বে দোসার মিশ্রণ তৈরি করে রেখে দিতে হবে। দোসা কিছু সময় রেখে দিলে ও হালকা ফুলে উঠলে দোসা বেশ মোটা ও সুস্বাদু হবে।
দোসা তৈরি করার জন্য দোসা ট্রে ব্যবহার করা যেতে পারে। যা আপনি আপনার স্থানীয় দোকানে কিনতে পাবেন।
৯। এখন একটি তাওয়া নিন এবং এটাতে তেল গরম করুন। ১ টেবিল চামচ পরিমাণ দোসা গোল গোল্লা বানিয়ে রুটির মতো করে গরম তেলে ভেজে নিতে হবে।
১০। দোসা ভালো মতো সিদ্ধ হতে দিন এবং সেদ্ধ হলে উল্টে দিন। যখন বাদামী বর্ণ ধারণ করবে তখন তুলে নিন।
দোসার সাথে চটনি / আলু ভর্তা / ডাল ভর্তা / সবজি বা এই রকম খাবারের সাথে খেতে পারেন।
এটা ছাড়াও আপনি ধারাবাহিকভাবে দোসা খাবার বিভিন্ন স্বাদে খেতে চাইলে এর উপকরণ পরিবর্তন করে আপনার স্বাদ মতো প্রয়োজনীয় উপকরণ নিতে পারেন। আপনি দোসা সঙ্গে চাটনি বা কোন তারকারি নিতে খেতে পারেন।দোসা খাবার হিসেবে পরিবেশনের সময় একটি করে কেটে দিয়ে রাখলে আরো আকর্ষণীয় দেখাবে। বিকেলে বা সন্ধায় নাস্তার মতো করে কিংবা সকালেও দোসা খাওয়া যেতে পারে।