ইলিশ মাছের ডিম রান্না করার রেসিপি ও স্বাস্থ্যগত উপকারীতা - Recipe and health benefits of cooking hilsa fish eggs

ইলিশ মাছের ডিম রান্না করার রেসিপি ও স্বাস্থ্যগত উপকারীতা - Recipe and health benefits of cooking hilsa fish eggs 

ইলিশ মাছের ডিম রান্না করার রেসিপি


ইলিশ মাছের "ডিম ফ্রাই" বাংলাদেশে অতি জনপ্রিয় একটি খাদ্য হিসেবে ধরা যায়। এটি রান্না করার রেসিপিও খুবই সহজ, নিম্নলিখিত উপকরণের সাহায্যে ঘরেই তৈরি করে নিতে পারেন -

উপকরণ: কোন মাছে ডিমের পরিমাণ বেশী আবার কোন মাছে কম হতে পারে। তাই উপকরণও সে হিসেবে কিছু কম বেশ করা যেতে পারে।

  • ৪টি ইলিশ মাছের ডিম (২টি মাছের মধ্যে ৪টি ডিমের গুচ্ছ পাওয়া যাবে)।
  • ২ টেবিল চামচ সরিষার তেল।
  • ২ টেবিল চামচ পেঁয়াজ কুচি।
  • ১ টেবিল চামচ আদা বাটা।
  • ১ চা চামচ হলুদ গুঁড়া।
  • ১ চা চামচ কাঁচামরিচ গুঁড়া।
  • ১/২ চা চামচ জিরার গুঁড়া।
  • নুন, স্বাদমতো মসলা, শুকনো মরিচ (অপশনাল)।

প্রণালী: এবার নিচের রেসিপি ফলো করে তৈরি করে নিন সুস্বাধু ইলিশ মাছের ডিম ফ্রাই -

  • একটি পরিষ্কার পাত্রে ইলিশ মাছের ডিম নিয়ে নিন।
  • একটি কড়াই বা পাত্রে সরিষার তেল গরম করুন।
  • গরম তেলে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে দিন এবং সেটা নরম হতে দিন।
  • এবারে আদা বাটা দিয়ে দিন এবং সেটা স্বাদমতো মসলা দিয়ে মিশান।
  • এখন হলুদ, কাঁচামরিচ গুঁড়া এবং জিরার গুঁড়া দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।
  • মিশ্রণটি কিছু সময় রেখে দিন।  
  • এবারে মিশ্রণে ডিম ছেড়ে দিন। ৪ টা ডিমের গুচ্ছ ভালোভাবে মসালার সাথে মিশ্রণ করে সিদ্ধ হতে দিন। যদি কারও গ্যাষ্ট্রিক সমস্যা থাকে এবং মসালা কম খাওয়ার অভ্যাস থাকে তবে মিশ্রণে পানি দিতে পারেন এবং মসালা সামাণ্য কম দিতে পারেন।
  • কিছুক্ষণ পর আগুনের তাপ কমিয়ে ৪ টি ডিমের গুচ্ছ একটি পরিষ্কার পাত্রে নিয়ে আসুন এবং ছুরি দিয়ে সুন্দর করে পিছ পিছ করে নিন। একটু সিদ্ধ হয়ার পর পিছ পিছ করার ফলে ডিম ভেঙ্গে ঝুড়ি হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে। তবে সাবধানে আগেই পিছ পিছ করে রেখে দিতে পারেন। আগেই পিছ পিছ করে রেখে দিলে পরে আর পিছ পিছ করার প্রয়োজন নেই। তাছাড়া আপনি যদি ডিমের গুচ্ছ আস্ত রেখে ফ্রাই করেন তাতেও সমস্যা নেই। এক্ষেত্রে ভালোভাবে মসালার মিশ্রণ করে আগুনের তাপে ভালভাবে সিদ্ধ করতে হবে।
  • এখন আবার কড়াইয়ে ডিমের পিছগুলো রেখে ভালোভাবে সিদ্ধ করে নিন। এবার নুন দিয়ে স্বাদমতো মসলা দিয়ে সঙ্গে মিশিয়ে দিন। আপনি যদি চান তবে এখানে শুকনো মরিচ যোগ করতে পারেন।
  • মিশ্রণটি মধ্য আঁচে রেখে দিন, যাতে ডিমগুলো ভালোভাবে মসালার সাথে মিশে যায়।
  • এবার ডিমগুলো উঠিয়ে নিন এবং গরম গরম পরিবেশন করুন।
ইলিশ মাছের ডিম রান্না করার রেসিপি


আপনি ইলিশ মাছের ডিম রান্নার সঙ্গে সাদাম বা পোলাও, ডাল বা শিরা, আলু ভর্তা এবং ধনেপাতা সহ পরিবেশন করতে পারেন। খাবারটিতে সবুজ মসৃণ ধনেপাতা দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করলে দেখতে সুন্দর হবে।


ইলিশ মাছের ডিম খুবই সুস্বাধু খাদ্য এবং পুষ্টিকর। এই ডিমের উপকারী দিকগুলো নিম্নরূপ:

উপকারী দিকগুলো:

পুষ্টিকর: ইলিশ মাছের ডিমের মধ্যে উচ্চ পরিমাণে প্রোটিন, ভিটামিন এবং মিনারেল রয়েছে। এটি পুষ্টিকর খাদ্যের একটি প্রাকৃতিক উৎস।

স্বাদপ্রিয়: ইলিশ মাছের ডিমের স্বাদ খুবই মধুর। এটি অনেকেরই পছন্দ এবং স্বাদে মজাদার।

ভিটামিন ও মিনারেলের উৎস: ইলিশ মাছের ডিমে কিছু ভিটামিন এবং মিনারেলসহ ভিটামিন বি-১২, সেলেনিয়াম, পোটাসিয়াম ইত্যাদি রয়েছে। এগুলো শরীরের প্রয়োজনীয় উপাদানের পূরক হিসেবে কাজ করে।

ক্যালোরি নিম্ন: ইলিশ মাছের ডিমের ক্যালোরির পরিমাণ সাধারণত কম থাকে, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। অনেকে মনে করে থাকেন মাছের ডিম খেলে ফ্যাট বাড়বে শরীরে। আসলে তা নয়। 

ইলিশ মাছের ডিম রান্না করার রেসিপি

তবে ইলিশ মাছের ডিমের কিছু অপকারী দিক আছে , তা নিন্মরূপ -

অপকারী দিকগুলো:

হাই কলেস্টেরল: ইলিশ মাছের ডিমে হাই কলেস্টেরল থাকতে পারে। তাই হার্ট রোগে আক্রান্ত বা কলেস্টেরল সমস্যায় ভূগে থাকলে এই খাবার গ্রহণের আগে সাবধান থাকা উচিত। অল্প পরিমাণে খেয়ে পর্য়বেক্ষণ করে দেখতে হবে।

পরিবেশনের সময় অস্থেটিক সমস্যা:  বিশেষ করে খাবারের পরিবেশনের সময় বা রান্না করার সময় সতর্ক থাকা উচিত, কারো কারো অস্থেটিক সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

সাধারণত, ইলিশ মাছের ডিম স্বাস্থ্যকর এবং স্বাদপ্রিয়। তবে, অসুস্থ ও রোগীর ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন। ইলিশ মাছের ডিমের গন্ধ কারো সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এরকম ছোট ছোট সমস্যা ছাড়া সকল বয়সের সবার পছন্দের প্রিয় একটি খাবার।

1 Comments

  1. অনেক দিন ধরে খুজছিলাম মাছের ডিম এর রেসিপিটা , এত ভালোভাবে কোথাও পায়নি । আপনাদের সব রেসিপি অনেক ভালো।

    ReplyDelete
Previous Post Next Post