গরমে দই চিড়া খেলে পেট ঠান্ডা থাকে স্বাস্থ্য ভালো থাকে - দই চিড়া তৈরির রেসিপি
স্বাস্থ্য সচেতনদের প্রিয় একটি খাবার দই চিড়া। গরমে যখন পেট গরম হয়ে যায় এবং অস্বস্তি লাগে তখন দই চিড়া খেলে শরীরে শক্তি ফিরে আসে এবং পেটও ঠান্ডা থাকে।
দই চিড়ার উপকারী দিক -
১। কিডনী রোগীদের জন্য উপকারী: চিড়া কিডনী রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। চিড়ায় পটাশিয়াম ও সোডিয়াম কম থাকায় কিডনী রোগীরা চিড়া থেতে পারেন।
২। ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে: দইয়ে থাকে প্রোবায়টিক যা অন্ত্রে থাকা ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে।
৩। পানি শূন্যতা: চিড়া দীর্ঘ সময় পানি শুণ্যতার অভাব পূরণে কাজ করে। বিশেষ করে রমজান মাসে ইফতারের সময় পানিশূণ্যতা দূর করতে স্বাস্থ্যবিদরা দই চিড়া খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। শুধু তাই নয় সেহরীর সময়ও এই খাবারটি খাওয়ার বেশ উপকার রয়েছে।
৪। হজমে সাহায্য করে: চিড়া হজমে সাহায্য করে। বিশেষ করে যাদের হজমে সমস্যা রয়েছে তারা এবং হাসপাতালের রোগীরা ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে চিড়া দই খেতে পারেন।
৫। শিশু ও বয়স্কদের জন্য: শিশু (৫ মাসের পর থেকে) ও বয়স্কদের নিয়মিত দই চিড়া খাবার হিসেবে একবেলা দেয়া যেতে পারে। খাবার নরম থাকায় দাত না থাকলেও সহজে খাওয়া যায়। তাই শিশুদের ও বয়স্কদের চিবানোর সমস্যা থাকলে এই খাবারটি দেয়া যেতে পারে।
মজাদার দই চিড়া তৈরি করার রেসিপি
১। ১ লিটার দুধ।
২। ২০০/৩০০ গ্রাম টক দই।
৩। ১টি কলা।
৪। ১/২ কাপ চিড়া।
৫। আধা কাপ নারিকেল কোড়ানো।
৬। আধা চামচ / ১ চামচ লেবুর রস।
৭। ১/২ কাপ পাকা আমের টুকরো।
৮। কিসমিস (পরিমাণমত)।
৯। লবন (পরিমাণমত)।
১০। সামান্য এলাচ গুড়ো।
১১। চিনি বা গুড় (পরিমানমতো)।
১২। খেজুর কুচি (বিচি ছাড়া) সামান্য পরিমানে।
দই চিড়া তৈরি করার রেসিপি -
১। একটি পাত্রে দুধের মধ্যে টক দই, চিনি বা গুড় ও লবন একত্র করে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে।
২। মিশ্রণটি ভালোভাবে ছেকে সামান্য কুসুম গরম করে ঠান্ডা করে নিতে হবে।
৩। মিশ্রণটি অন্য একটি পাত্রে নিয়ে ফ্রিজে ২ থেকে ৩ ঘন্টার জন্য রেখে দিতে হবে।
৪। চিড়াগুলো ভাবে ধুয়ে নিতে হবে এবং পানি ছেকে নিতে হবে। তা না হলে স্বাদ কিছু কমে যেতে পারে।
৫। ফ্রিজ থেকে মিশ্রণ বের করে চিড়ার সাথে মিশিয়ে তাতে আমের পিওড়ী মিশিয়ে আবারও ফ্রিজে রাখতে হবে। এবার কমপক্ষে ১ ঘন্টা ফ্রিজে রেখে দিতে হবে।
৬। এবার ফ্রিজ থেকে মিশ্রণটি বের করে নারিকেল মিশিয়ে আবারও ফ্রিজে রেখে দিন।
খাবার পরিবেশনের আগে ফ্রিজ থেকে বের করে কিসমিস, এলাচ, কলা, খেজুর কুচি ইত্যাদিসহ সুন্দরভাবে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।
অনেক ভালো একটা রেসিপি পেলাম এখান থেকে
ReplyDelete